নয়াদিল্লি : মেয়াদ শেষ হওয়ার ছ’মাস আগেই পদত্যাগ করলেন রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য৷ রিজার্ভ ব্যাংকের স্বাধীনতা নিয়ে মুখ খুলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন তিনি৷ আর্থিক বৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়েও বর্তমান গভর্নর শশীকান্ত দাসের সঙ্গে তাঁর ছিল তীব্র মতভেদ হওয়ার কারণেই কি এই পদত্যাগ? তুঙ্গে জল্পনা৷
২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি বিরল রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি ডিরেকটর নিযুক্ত হন৷ এবার নিজের পদ থেকে ছেড়ে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনায় ফিরে যাচ্ছেন বিরল আচার্য৷ পদত্যাগে কারণে তিনি ব্যক্তিগত বিষয়ের উল্লেখ করলেও মেয়ার শেষের ৬ মাস আগেই পদ ছাড়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে জল্পনা৷
গত বছর ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য্য অভিযোগ করেন, স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে যে ভাবে কেন্দ্র নাক গলাচ্ছে কেন্দ্র, এর জেরে দেশে আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে৷ এই আশঙ্কাও সত্যি হয়৷ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে কমেছে মোট জাতীয় উৎপাদন৷ জিডিপি সূচক দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬.৬ শতাংশে৷ শেষ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশ৷ গত ১৫ মাসে জিডিপি বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম৷ এই প্রসঙ্গে তিনি আর্জেন্টিনা সরকারের পদক্ষেপকে উদাহরণ হিসাবে টানেন৷ মন্তব্য করেন, ‘‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতাকে সম্মান করছে না সরকার৷ দেরিতেও হলে তার প্রভাব আর্থিক বাজারে পড়তে পারে৷’ বিরলের এই মন্তব্যের পরই কেন্দ্র ও আরবিআইয়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে৷