২ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দেশের! দায়ী করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’

২ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দেশের! দায়ী করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’

নয়াদিল্লি: ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অনেক আগে থেকেই অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। বিরোধীরা বরাবর দেশের অর্থনীতি এবং বেকারত্বের সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণের পর আক্রমণ করে গিয়েছে। তার মধ্যে গত বছর লকডাউন কার্যকরী করার ফলে আরো অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এবছর করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ এবং মৃত্যু অনেক বেশি হলেও লকডাউন কার্যকরী হয়নি, কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশের অর্থনীতি ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে বলে জানাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট। জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ভারতের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা! অবশ্য ভাবে এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে উদ্বেগ বেড়েছে।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরের অর্থনীতির মত গ্রামীণ অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ। দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষিত না হলেও রাজ্যভিত্তিক যে কারফিউ এবং লকডাউন ঘোষণা হয়েছে তাতে অনেকের চাকরি চলে গিয়েছে এই সময়ের মধ্যে। যার ফলে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। কার্ফু এবং লকডাউন কার্যকরী হবার জন্য প্রচুর ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের। এই প্রেক্ষিতে বহু লোকের চাকরি চলে গিয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই কারণেই দেশে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের বড় রকমের ধাক্কা লেগেছে বলে জানাচ্ছে আর বি আই।

আরও পড়ুন- ‘বাচ্চা হলে বুকে চুপ করানো যায়!’ রাজ্যপালকে বেনজির কটাক্ষ মমতার

তবে এই পরিস্থিতি থেকে কী করে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভব তার একটা ছোট্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টে। দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যা রয়েছে তাতে টিকাকরণ একমাত্র ভরসা। টিকাকরণ যত বাড়বে তত বাড়বে মানুষের মানসিক শক্তি। তার প্রেক্ষিতেই আবার অর্থনৈতিক গতি ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতের জিডিপি নিয়ে রিপোর্ট বেরিয়েছিল যা অত্যন্ত সঙ্গীন। তারপরে এই রিজার্ভ ব্যাংকের অর্থনীতি নিয়ে রিপোর্ট আরো অস্বস্তি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের। যদিও আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও অনুকূলে আসবে। কারণ এখন দেশের তথা একাধিক রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *