গুজরাট: দেশের করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবস্থা। কার্যত জাতীয় বিপর্যয় নেমে এসেছে গোটা দেশের বুকে। গত তিন দিন ধরে প্রতিদিনই দেশ জুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াচ্ছে ৩ লক্ষের গণ্ডি। দৈনিক মৃত্যু কয়েক হাজারেরও বেশি। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদাও। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন দেশের অন্যতম শিল্পপতি রতন টাটা। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশের লড়াইকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন পরিবহনকে আরও দ্রুত ও মসৃণ করতে ২৪টি ক্রায়োজেনিক কন্টেইনার কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়ার কথা জানিয়েছে টাটা গ্রুপ।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের চাহিদা চরম সীমায় পৌঁছেছে। অক্সিজেন না পেয়ে মারা যাচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। বর্তমানে করোনা রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে তরল অক্সিজেন। কিন্তু রাজ্যগুলিকে সেই অক্সিজেন ঠিক মতো জোগান দিতে পারছে না কেন্দ্র। এই অবস্থায় এগিয়ে এসেছে টাটা গ্রুপ। মঙ্গলবার তাদের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ঘোষণা করা হয়েছে, “দেশের মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আবেদন প্রশংসনীয়। কোভিড-১৯’এর বিরুদ্ধে মানুষের লড়াইকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা টাটা গ্রুপ যথাসম্ভব সাহায্য করব। দেশ জুড়ে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য টাটা গোষ্ঠী অবিলম্বে ২৪টি ক্রায়োজেনিক কন্টেনার আমদানি করতে চলেছে। দেশে অক্সিজেন সঙ্কট কম করার জন্য এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও উন্নত করার জন্য এটি আমাদের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।” টাটা গোষ্ঠীর এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়ে পাল্টা ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
সোমবারই টাটা স্টিল ঘোষণা করেছিল যে, প্রতিদিন রাজ্য সরকার ও হাসপাতালগুলিকে তারা ২০০-৩০০ টন তরল অক্সিজেন পাঠাবে। এরপর মঙ্গলবারই আবার দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল টাটা গোষ্ঠী। গত বছরই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পিএম রিলিফ ফান্ডে ১৫০০ কোটি টাকা দান করেছিলেন রতন টাটা। দেশের মানুষ এই প্রবীণ শিল্পপতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। টাটা গোষ্ঠীর এই ঘোষণার পরেই নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতে থাকে ‘This is Tata’ হ্যাশট্যাগ।