“ভালো ছেলের মতো..” বলবেন না রতন! পিতৃহারা গোয়া-স্প্রাইটরা | Ratan Tata Animal Lover

পিতৃহারা! (Ratan Tata Animal Lover) মুম্বাই : রতন টাটা নেই,কী হবে এবার অসহায় রাস্তার কুকুরগুলোর? স্প্রাইট, গোয়া পিতৃহারা! ইন্ডিয়ার এই বিরাট ‘পেট’ প্রজেক্ট বাঁচিয়ে রাখবে…

Ratan Tata Animal Lover

পিতৃহারা! (Ratan Tata Animal Lover)

মুম্বাই : রতন টাটা নেই,কী হবে এবার অসহায় রাস্তার কুকুরগুলোর? স্প্রাইট, গোয়া পিতৃহারা! ইন্ডিয়ার এই বিরাট ‘পেট’ প্রজেক্ট বাঁচিয়ে রাখবে রতন টাটাকে! নেপথ্যে লুকিয়ে অনেক বড় কারণ!

ব্যবসার বাইরে তাঁর এক পৃথিবী হৃদয় ছিল। আর পাঁচজন বিজনেস টাইকুনের সঙ্গে এখানেই ফারাক রতন টাটার।

তিনি নেই। কিন্তু পশুদের প্রতি তাঁর ভালবাসা, অসহায় পথকুকুরদের প্রতি তাঁর স্নেহ, মায়া, মমতা; থেকে যাবে মানুষের মনে।

Ratan Tata Animal Lover

রাস্তার কুকুরদের দত্তক (Dog Lover Extraordinaire)

“একদম ভাল ছেলের মতো চুপ করে বসে থাকবে” না প্রিয় ওই গলা আর শুনতে পাবেনা তাঁর প্রিয় পোষ্য গোয়া, স্প্রাইটরা। রতন টাটার পশুপ্রেম গোটা দেশবাসীর মন জয় করেছে বারবার। কখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় ৭ মাসের ছোট্ট পথকুকুরের জন্য রক্ত চেয়ে পোস্ট, কখনো অসুস্থ কোনও কুকুরকে পরিবার খুঁজে দেওয়া, আবার কখনও হারিয়ে যাওয়া কুকুরের মালিকের খোঁজ করা, কিংবা তাজ প্যালেস হোটেল কর্মীর ছাতার তলায় বষ্টিভেজা কুকুরকে আশ্রয় নিতে দেখে আপ্লুত হওয়া। রতন টাটার উদাহরণ রতন টাটা নিজেই।

Dog Lover Extraordinaire

রাস্তার কুকুরদের দত্তক নিতেন তিনি। যত্ন করে পুষতেন, সেবা করতেন। এমনকী, নিজের অফিসের সামনে তিনি রাস্তার কুকুরদের আদর করতেন, মাটিতে বসে পড়ে। এ কথা বলতেন তাঁর ঘনিষ্ঠরাই। পথ কুকুরের প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা সর্বজনবিদিত। সেই মানুষটা নেই।

রেখে গেলেন অ্যাসেট (Ratan Tata’s impact on animal welfare)

কিন্তু এই অবলা প্রাণীদের জন্য রেখে গেলেন অ্যাসেট। তাঁর সেই স্বপ্নের পেট প্রজেক্ট আজ মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে। ভারতের অন্যতম বড় পশুচিকিৎসা হাসপাতাল, নির্মাণ করেছেন খোদ শিল্পপতি রতন টাটা। ৮৬ বছর বয়সে অনেক বড় স্বপ্ন পূরণ। চালু হয়েছে তাঁর ঝাঁ চকচকে ‘পেট’ প্রজেক্ট । মুম্বইতে অত্যাধুনিক সুবিধা সহ পশুচিকিৎসা হাসপাতালের নাম Tata Trusts Small Animal Hospital।

Ratan Tata's impact on animal welfare

মোট ২.২ একর জমির উপর গড়ে ওঠা এই অত্যাধুনিক হাসপাতালে কুকুর, বিড়াল, খরগোশের মতো পোষ্যদের চিকিৎসা হয়। কিন্তু এই হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত এমনি এমনি নেননি রতন টাটা। একবার রতন টাটা বলেছিলেন, পোষ্যের জয়েন্ট প্রতিস্থাপনের জন্য তাঁকে আমেরিকায় নিয়ে যেতে হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটাতে পৌঁছাতে এবং সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে একাধিক সমস্যা ফেস হতে হয়েছিল তাঁকে। তিনি বলেছিলেন, সেখানে পৌঁছাতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার পরই পশু হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত। বিশ্বমানের পশুচিকিৎসা হাসপাতাল যা সবরকম সুবিধা দিতে পারে। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে অবশেষে।

২০১২ সালে রতন টাটা যখন টাটা সন্সের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান, তখন এই হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। যার কাজ ১২ বছর পর শেষ হয়। আজ মুম্বইতে নির্মিত সেই পশুচিকিৎসা হাসপাতাল দেশের অন্যতম বড় পশু হাসপাতাল। টার্গেটে পৌঁছতে পেরেছেন রতন টাটা। এই হাসপাতালে একসাথে ২০০ প্রাণীর চিকিৎসা সম্ভব।

কুকুর, বেড়ালের জন্য বিলিয়নিয়ার রতন টাটা যে স্যাক্রিফাইস করতে পারতেন, তা হয়তো আর পাঁচজন সাধারণ মানুষ করার আগে একশো বার ভাববে। তাই হয়তো তাঁর পোষা কুকুরের অসুস্থতার কারণে ইউকে রাজপরিবারের দেওয়া লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড নিতে যেতে না পারা, রতন টাটার পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল।

রতন টাটাকে হারিয়ে আজ কত প্রাণী মাথার উপর থেকে সেই স্নেহের হাতটা হারাল। আর অমূল্য রত্ন হারাল ভারত।

Ratan Tata's impact on animal welfare

আরও পড়ুন..

শান্তনুই টাটা গ্রুপের উত্তরসূরী! “বাতিঘর” হারালেন, কী সম্পর্ক ছিল রতন টাটার সাথে?

NationalRatan Tata Animal Lover : Discover the lesser-known side of Ratan Tata, a passionate animal lover and dog enthusiast. Explore his heartwarming stories and philanthropic efforts for animal welfare.