হায়দ্রাবাদ: তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ন’দিনের মাথায় অভিযুক্ত ৪ জনের মৃত্যু হল পুলিশের এনকাউন্টারে৷ শুক্রবার ভোররাতে ঘটনার পুনঃনির্মাণের জন্য ওই চার অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গেছিল পুলিশ৷ সেই সময় ঘটে এই এনকাউন্টারের ঘটনা৷
শামসাবাদ পুলিশের ডিসিপি প্রকাশ রেড্ডি জানিয়েছেন, ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় পুলিশের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের উপর গুলি চালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা৷ আত্মরক্ষার জন্যই তখন পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ৷ ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত হবে ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে৷
গত বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদের কাছে সাইবারাবাদ থানা এলাকায় চাতানপল্লির কাছে একটি কালভার্টের নীচে ২৭ বছরের তরুণী পশু চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়৷ ‘মেয়ের আত্মা শান্তি পেল’- খবর পাওয়ার পর এমনই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার৷ এনকাউন্টার এর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছে নির্ভয়ার পরিবারও৷ একইসঙ্গে তাদের মেয়ে এখনো বিচার পাইনি বলে দুঃখও প্রকাশ করেছেন নির্ভয়ার মা-বাবা৷
হায়দ্রাবাদের আইনমন্ত্রী নিজের প্রতিক্রিয়ায় এনকাউন্টার ঘটনাকে ‘ভগবানের রায়’ বলে উল্লেখ করেছেন৷ অন্যদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে এনকাউন্টারের ঘটনায় দেশজুড়ে উচ্ছ্বাসের আবহাওয়া তৈরি হয়েছে৷ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হায়দ্রাবাদ পুলিশকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টরা৷ ঘটনাস্থলে কর্মরত পুলিশদের উপর পুষ্পবৃষ্টিও করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উৎসাহী সাধারণ মানুষ৷ কাণ্ডের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন আরো জোরালো হয়েছে৷
রবিবারই তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ঘটনার তদন্তের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন৷