অযোধ্যা: মুষলধারে বৃষ্টি হলেই রামমন্দিরের ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল৷ বৃষ্টি আরও বাড়লে বন্ধ হয়ে যাবে রামলালার পুজো! হ্যাঁ একেবারে ঠিকই শুনছেন৷ উদ্বোধনের পর মাত্র মাস ছয়েক যেতে না যেতেই রাম মন্দিরে এত বড় বিপত্তি৷ ছাদ ফুটো হয়ে রীতিমত চুঁইয়ে পড়ছে জল। সোমবার (২৪ জুন), মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জানান, বৃষ্টি হলেই ছাদ থেকে জল পড়ছে। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী তাড়াহুড়ো করে মন্দির উদ্বোধন করার জেরে মন্দিরের নির্মাণ কাজে কোনও গাফিলতি থেকে গেল? সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেছেন, “রামলালার মূর্তি যেখানে স্থাপন করা হয়েছে, সেই গর্ভগৃহের ছাদ প্রথম বৃষ্টিতেই ফুটো হতে শুরু করেছে।
রাম মন্দিরের নির্মাণকাজ এখনও শেষ হয়নি পুরোপুরি সেই কাজ এখনও চলছে। তাই, সেখানে বহু সংখ্যায় ইঞ্জিনিয়াররাও আছেন। এত ইঞ্জিনিয়ার থাকা সত্ত্বেও, মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়ায় বিস্মিত প্রধান পুরোহিত। আসলে কি ঘটেছে রামমন্দিরে? চলুন জেনে নি৷
প্রায় ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে এই রাম মন্দিরে। কাজ করছেন প্রায় ১০০০-এর বেশি কর্মী। এত টাকা খরচ করে যেখানে রাম মন্দির নির্মাণ হচ্ছে সেখানে উদ্বোধনের ছয় মাসের মধ্য়ে গর্ভগৃহে জল চুঁইয়ে পড়ার ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই নির্মাণ কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে জল জমার বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্য়েই বিবৃতি দিয়েছেন মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র৷
তিনি বলছেন, তলা থেকে বৃষ্টির জল চুঁইয়ে গর্ভগৃহে চুঁইয়ে পড়ছে ঠিকই। এটি হওয়ারই ছিল। কারণ গুরু মণ্ডপটি দ্বিতীয় তলায় খোলা আকাশের নীচে। প্রথম তলায় নির্মাণ কাজ এখনও চলছে। নালা থেকে কিছু ছিদ্রও চোখে পড়েছে। নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হলে নালাটি বন্ধ হয়ে যাবে। গর্ভগৃহে আলাদা করে নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। কারণ সব মণ্ডপে জল ও গর্ভগৃহে জল পরিষ্কারের জন্য ঢাল পরিমাপ করা হয়েছে। নকশা বা নির্মাণে কোনও সমস্যা নেই। খোলা মণ্ডপগুলি বৃষ্টির জলে ভিজতে পারে। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নগর স্থাপত্যের নিয়ম অনুসারে এটি খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
তবে মন্দিরের উপরের তলগুলি তৈরি হয়ে গেলে এই ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না বলে আশ্বাস তাঁর। তবে আশ্বাস মিললেও বিতর্ক কিন্তু থেমে নেই। মন্দির উদ্বোধনের ছয় মাস পূর্তির পরেই রাম মন্দিরের ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ার ঘটনা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।