নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ককে স্বস্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। উত্তরাখণ্ডে সরকারি বাংলো ভাড়া না দেওয়ার জন্য অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলার শুনানি হল সোমবার৷
গত বছরের মে মাসে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বিনামূল্যে আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য সরকারের আদেশকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে> উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট জানিয়েছিল, মেয়াদকাল শেষ হওয়ার পর রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা যে সরকারি বাংলোয় থাকবেন, তার জন্য বাজার দরে ভাড়া দিতে হবে৷ পোখরিয়াল উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ এদিন বিচারপতি রোহিটন এফ নরিমানের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ উত্তরাখণ্ড সরকারকে নোটিশও জারি করে৷
উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টের তরফে পোখরিয়াল সহ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ছয় মাসের মধ্যে ২.৮ কোটি টাকা বাজারের দামে ভাড়া দিতে বলা হয়েছিল। আরও বলা হয়েছিল, তাঁদের জন্য ১৩ কোটি টাকার অন্যান্য খাতে ব্যয় হয়েছে৷ সেগুলিও যেন মিটিয়ে দেওয়া হয়। যার মধ্যে জল, বিদ্যুৎ, ফোনের বিল, যাতায়াত, জ্বালানি এবং কর্মীদের সদস্যদের বেতনে ব্যয় করা অর্থ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পোখরিয়াল হাই কোর্টে গিয়ে অনুরোধ করেছিলেন, ভাড়া দেওয়ার মতো অবস্থা তাঁর নেই। তাই সেগুলি পর্যালোচনা করা হোক। তিনি ছাড়াও অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীদেরও বাজার দরে ভাড়া দিতে বলা হয়েছিল৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন এনডি তিওয়ারি (যিনি ২০১৮ সালে প্রয়াত হয়েছেন), ভগত সিং কোশিয়ারি, বিসি খান্ডুরি এবং বিজয় বহুগুনা।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সময়সীমার মধ্যে তাঁদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার পর উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট অবমাননার মামলা শুরু করে। আগস্টে মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল মিঃ কোশ্যারি ও রমেশ পোখরিয়াল সহ তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সো কজ নোটিশ জারি করেছিল হাই কোর্ট৷ আজ সেই সামলায় শিক্ষামন্ত্রীর বকেয়া ভাড়া মেটানোর উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে৷