মুম্বই: যাবতীয় রেকর্ড চুরমার করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’৷ দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে এখন সারা বিশ্ব মাতাচ্ছে এই পৌরানিক আখ্যান৷ দূরদর্শনের পর্দায় ‘রামায়ণ’-এর পুনঃসম্প্রচার শুরু হতেই একলাফে বেড়ে যায় দূরদর্শনের দর্শকসংখ্যা৷ কিন্তু যাবতীয় রেকর্ড ভেঙেচুরে দেয় ১৬ এপ্রিল সম্প্রচারিত এপিসোডটি৷ ওই দিন বিশ্বের ৭.৭ কোটি দর্শক চোখ রাখেন ‘রামায়ণ’-এর পর্বে৷ জানা গিয়েছে, ১৬ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ ‘রামায়ণ’ দেখেছেন৷ যে দিন রামায়ণের প্রথম এপিসোড দূরদর্শনে প্রসারিত হয়েছিল, সেই দিন দর্শক সংখ্যা ছিল এক কোটি ৭০ লক্ষ৷
করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশজুড়ে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করার পরই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ‘রামায়ণ’ এবং ‘মহাভারত’ পুনঃসম্প্রচারের দাবি উঠতে শুরু করেছিল৷ তাঁদের দাবি ছিল, ঘর বন্দি হয়েই ফিরে আসুক পুরনো নস্টালজিয়া৷ সেই দাবি মেনেই এই দুই সিরিয়াল পর্দায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জাভড়েকর৷ বাল্মিকীর রামায়ণ এবং তুলসীদাসের রামচরিতমানসের উপর আধারিত ‘রামায়ণ’ ধারাবাহিকের ৭৮টি পর্বের সম্প্রচার শুরু হয় ২৮ মার্চ৷ দেশজুড়ে দর্শকদের বিপুল চাহিদায় দূরদর্শনের পর্দায় ফেরে আশির দশকের সেই আবেগ৷
কিছুদিন আগে প্রসার ভারতীর সিইও শশি শেখর জানিয়েছিলেন ২০১৫ থেকে এখনও পর্যন্ত জেনারেল এন্টারটাইনমেন্ট বা জিইসি বিভাগে এই পৌরানিক আখ্যান সবার উপরে রয়েছে ৷
‘রামায়ণ’-এর সঙ্গে ফিরে এসেছে পুরনো নস্টালজিয়া৷ সেই সঙ্গে আরও একবার চর্চার কেন্দ্রে অভিনেতা অরুণ গোভিল, দীপিকা চিখলিয়া, সুনীল লহরি আর অরবিন্দ ত্রিবেদী৷ বস্তাপচা টিভি সিরিয়াল ছেড়ে বেশ কিছু দিন ধরেই ওয়েব সিরিজে মজেছিল ইয়ং জেনারেশন। কিন্তু লকডাউনে ফের টিভিমুখো দেশর মানুষ৷ আর ‘রামায়ম’, ‘মহাভারতে’র মতো ধারাবাহিক ফিরিয়ে এনে বেসরকারি চ্যানেলগুলিকে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে এসেছে দূরদর্শন।
১৯৮৭ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রথম সম্প্রচারিত হয় রামানন্দ সাগরের ‘রামায়ণ’৷ ১৯৮৮ সালের ৩১ জুলাই থেকে প্রতি রবিবার সকাল সাড়ে ন’টায় টিভির পর্দায় সম্প্রচারিত হত এই ধারাবাহিক৷