পিতৃপক্ষের অবসানে নির্মিত হবে রাম মন্দির, ঘোষণা ট্রাস্টের সম্পাদকের

অযোধ্যা: রাম মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে আর মাত্র কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় মন্দির তৈরি শুরু হবে। একথা জানিয়েছেন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। তিনি বলেছেন যে “পিতৃপক্ষ শেষ হওয়ার পরে ১৭ সেপ্টেম্বর অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। পিতৃপক্ষ সেই সময়কে বোঝায় যখন হিন্দুরা তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।”

9abedaca591e48615d7ddbb1c8393149

অযোধ্যা: রাম মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে আর মাত্র কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনায় মন্দির তৈরি শুরু হবে। একথা জানিয়েছেন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। তিনি বলেছেন যে “পিতৃপক্ষ শেষ হওয়ার পরে ১৭ সেপ্টেম্বর অযোধ্যায় রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। পিতৃপক্ষ সেই সময়কে বোঝায় যখন হিন্দুরা তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।”

রাই বলেছেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্মাণ সংস্থা লারসন এবং টুব্রো এই মন্দিরের ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রস্তুত। রাম জন্মভূমি ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ৮৭৯ বর্গ মিটার এলাকাতে তৈরি হবে এই মন্দির। সংস্থাটি কোনও পারিশ্রমিক না নিয়েই নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। মন্দিরের ভিত্তি তৈরি করতে ভূপৃষ্ঠের প্রায় ১০০ ফিট নিচ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২০০টি স্তম্ভ স্থাপন করা হবে। এই স্তম্ভগুলি পাথরের এবং এক্ষেত্রে কোনও লোহা ব্যবহার করা হবে না। আবার এই স্তম্ভগুলিতে, আরও একটি ভিত্তি স্থাপন করা হবে। নির্মাণ সংস্থা মুম্বই থেকে ইতিমধ্যেই মেশিন আনিয়েছে এবং হায়দরাবাদ থেকে মেশিন আসার প্রক্রিয়া চলছে।

672f7afd1561e3d757876935801352ab

672f7afd1561e3d757876935801352ab

আরও পড়ুন: NCB অফিসে চলছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ, আজই গ্রেপ্তার হতে পারেন রিয়া

ট্রাস্ট মন্দিরটির ভিত্তি স্থাপনের জন্য প্রায় ১০০ জন শ্রমিক কাজ করবেন। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এই সব শ্রমিকদের রাম জন্মভূমি ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হবে এবং থার্মাল স্ক্যান করা হবে। এই সপ্তাহের শুরুতে, অযোধ্যা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (ADA) দুটি লেআউটকে অনুমোদন দিয়েছে – একটি রাম মন্দির এবং অন্যটি পুরো রাম জন্মভূমি ক্যাম্পাসের। উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২.১১ কোটি টাকা প্রয়োজনীয় ফি জমা দেওয়ার পরে এডিএ ৪ সেপ্টেম্বর ট্রাস্টের কাছে লেআউটগুলিও হস্তান্তর করেছিল।

প্রস্তাবিত রাম মন্দিরটি ৩৬০ ফিট দীর্ঘ, ২৩৫ ফিট চওড়া এবং ১৬১ ফিট উঁচু হবে এবং এর পাঁচটি গম্বুজ থাকবে। ট্রাস্টের মতে, মন্দিরটির ভিত্তি আধুনিক কৌশল ব্যবহার করে স্থাপন করা হবে যাতে এটি ১ হাজার ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অক্ষত থাকে এবং এর কাঠামোটি এক হাজার বছরের জন্য সংরক্ষণ করা যায়। সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই), রুরকি এবং আইআইটি মাদ্রাজের বিশেষজ্ঞরা মন্দিরের ভিত্তিটিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করেছেন যাতে এটি ভূমিকম্প ও ঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *