নয়াদিল্লি: প্রয়াত প্রাক্তন সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ অমর সিং। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ৬৪ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হল। কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি মার্চ মাসে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে যান যান। ২০০৮ সালে আমেরিকার সঙ্গে হওয়া পরমাণু চুক্তি নিয়ে বামেরা কংগ্রেস পরিচালিত ইউপিএ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করলে সেসময় ইউপিএর পাশে দাঁড়ায় সমাজবাদী পার্টি। তৎকালীন সপার গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন অমর সিং। অমর সিংয়ের প্রয়াণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের শোকজ্ঞাপন করেছেন।
টুইটে শোকবার্তা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন অমর সিংজি ছিলেন একজন প্রাণশক্তিতে ভরপুর জননেতা। গত কয়েক দশকে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক পটপরিবর্তন তিনি খুব সামনে থেকে দেখেছেন। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর বন্ধুত্বস্থাপন অত্যন্ত আলোচিত ছিল। তাঁর প্রয়াণে গভীর দুঃখ পেয়েছি। পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা। শোকবার্তা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। টুইটে শোকজ্ঞাপন করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রা। শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, ভগবান অমর সিংজির আত্মাকে আশ্রয় দিন। এই গভীর দুঃখের সময় তাঁর শোকসন্তপ্ত স্ত্রী ও কন্যাদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। সাংসদ তথা প্রবীণ নেতা অমর সিংয়ের মৃত্যুর খবরে গভীর দুঃখ অনুভূত হচ্ছে। সামাজিক জীবনে তাঁর সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। দুঃখমগ্ন পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা, এই মর্মে টুইট করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
১৯৫৬ সালের ২৭ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে অমর সিংয়ের জন্ম। দীর্ঘদিন সমাজবাদী পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মুলায়ম সিং যাদবের একান্ত ঘনিষ্ঠদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল। ২০১১ সালে কিডনি প্রতিস্থাপনের পর থেকেই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি ভালো থাকতো না। সকালেই বাল গঙ্গাধর তিলকের শততম প্রয়াণবার্ষিকীতে টুইট করে শ্রদ্ধা জানান। অমর সিং এবং তাঁর সহযোগী জয়াপ্রদাকে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য সপা থেকে বহিষ্কার করা হয়। বাংলার সঙ্গে ছিল যোগাযোগ৷ অনর্গল বলতে পারতে বাংলা৷ অমর সিংয়ের বাবার ব্যবসা ছিল কলকাতায়৷ সেই সূত্রে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন বাংলায়৷ বাংলায় করেছেন রাজনীতি৷ পরে চলে যান দিল্লিতে৷ রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বন্ধুও ছিলেন অমর সিং৷ অমরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷