নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় মহামারী সংক্রমণ সংশোধনী বিল ২০২০ পাস করাল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷ আজ সকালে এই বিল পেশ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন৷ এই আইনের মাধ্যমে কেন্দ্র সরকার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপ করছে বলে বিলের বিরোধিতা করেন তৃণমূল সাংসদ৷
সংসদের উচ্চকক্ষে আজ বিল পেশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘২০২০ সালে সারাবিশ্ব তথা ভারতের পরিস্থিতি অন্যরকম৷ করোনা চিকিৎসা করাতে হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বহু স্বাস্থ্য কর্মী ও প্যারা মেডিক্যাল কর্মীরা৷ এই সমস্যা মেটাতে আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে৷ যাতে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়৷’’
সংসদে তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ২২ এপ্রিল এই সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছিল৷ এবার সংশোধন করে আইন করা প্রয়োজন৷ যাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের কোন রকম ভাবে হেনস্থা না করা হয়৷ হলে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে৷ অভিযুক্তকে শাস্তি দেয়া হবে৷ এর আগে করোনা যোদ্ধাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে৷ কোথাও স্বাস্থ্য কর্মীর পরিবারকে কার্যত এক ঘরে করে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও পাড়ায় ঢুকতে না দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠছে৷ এই সমস্ত ঘটনা রুখতে এপ্রিল মাসে অধ্যাদেশ এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হেনস্থার ঘটনায় রাশ টানতে উদ্যোগ দিয়ে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এবার সেই অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করল কেন্দ্র৷
এদিন এই বিলের বিতর্কে অংশ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন৷ তিনি জানান, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি সারা দেশ জুড়ে ৩০৩ আসন পেলেও বাংলা, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝারখাণ্ড, কেরল, দিল্লি, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে জনগণ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছে৷ এই আইন কার্যকর করে কেন্দ্র সরকার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপ করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি৷ এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ জানান, স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষায় ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন চালু করেছে৷ কিন্তু, কেন্দ্র সরকার নয়া আইন চালু করে রাজ্যের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি৷