নয়াদিল্লি: কেন্দ্র সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তপ্ত দিল্লির পরিস্থিতি। গত চার মাস ধরে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ কৃষক আন্দোলনের মোড় ঘোরে প্রজাতন্ত্র দিবসের ট্র্যাক্টর মিছিলে। রাজধানীতে অশান্তির জেরে কৃষকদের সমালোচনায় সামিল হয় গোটা দেশ। কিন্তু অন্নদাতা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে লাগাতার কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
মঙ্গলবার বিরোধীদের প্রভাবে পরপর ৩ বার মুলতুবি হয়েছে রাজ্যসভার অধিবেশন। এদিন দুপুরের আগে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলি ৩ বার উচ্চকক্ষের অধিবেশন মুলতুবি করতে বাধ্য করেছেন। কেন্দ্রের বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন এবং তৎসংক্রান্ত কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনার দাবিতেই এই কাজ করেছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যসভার অধিবেশন প্রথমবার মুলতুবি হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। টানা ৪০ মিনিট বন্ধ থাকার ফের সভার কাজ চালু হলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। ফলে পরিস্থিতি বুঝে আবারো অধিবেশন মুলতুবি রাখা হয় সাময়িক ভাবে। এরপর সাড়ে ১১টায় ফের শুরু হয় অধিবেশন।
উচ্চকক্ষের অধিবেশন সাড়ে ১১টায় পুনরায় চালু হয়, কিন্তু বিরোধীদের শোরগোল থামে না তখনও। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ ফের সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সভার কাজ মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পার্লামেন্টের মতো জায়গায় এই ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি প্রত্যাশিত নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
বস্তুত, এদিন রাজ্যসভায় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনার দাবি জানান বিরোধীরা। এই আইন বাতিলের দাবিতেই মূলত সরব হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই দাবি না মানা হলে সংসদের ভিতরেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। অভিযোগ রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান বারংবার কোভিড বিধি মেনে নিজ নিজ আসনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও বিরোধীরা তাঁর কথা শোনেন নি। বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেস ছাড়াও ছিলেন আরজেডি, ডিএমকে, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামপন্থী নেতারা। তাঁদের দাবি না মানা হলে তাঁরা রাজ্যসভা ছেড়ে একজোটে বেরিয়েও যান বলে খবর। এছাড়া, সভার ভিতরেই চলে কেন্দ্র বিরোধী স্লোগান।