চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, LAC তে ডিসএনগেজমেন্টের স্পষ্ট বার্তা রাজনাথের

চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, LAC তে ডিসএনগেজমেন্টের স্পষ্ট বার্তা রাজনাথের

মস্কো: সীমান্তে সংঘর্ষের আবহেই শুক্রবার মস্কোয় চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করলেন রাজনাথ সিং৷ টানা ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ধরে চলে বৈঠক৷ ওই বৈঠকে শান্তি ফেরানোর ইঙ্গিত মিললেও রফাসূত্র মেলেনি বলেই সূত্রের খবর৷ 

প্রসঙ্গত, সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার মস্কো গিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ে ফ্যাং-ও৷ এসসিও সম্মেলনের ফাঁকেই মস্কোর একটি বিখ্যাত হোটেলে বৈঠক করেন দু’দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷ রাজনাথের সঙ্গে ছিলেন রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত ডিবি ভেঙ্কটেশ ভার্মা এবং প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার।

আরও পড়ুন- ‘তাঁদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞ’, শিক্ষক দিবসে দেশের সকল শিক্ষিক-শিক্ষিকাকে শ্রদ্ধা নমোর

ওই বৈঠকেই চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ে ফ্যাং-কে রাজনাথ সিং স্পষ্ট জানান, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে সম্পূর্ণরূপে ‘সেনা পিছনো’ বা ডিসএনগেজমেন্ট-র জন্য ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত চিনের৷ গত কয়েক মাসে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একাধিকবার সেনা সমাবেশ,  সেনাবাহিনীর আগ্রাসী পদক্ষেপ ও একতরফা ভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে চিন৷ যা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিরোধী৷ নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনার মাধম্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা পিছতে হবে৷ সীমান্তে শান্তি ফেরাতে কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমেই ডিসএনগেজমেন্ট এবং ডিএসক্যালেশন (সেনা সংখ্যা কমানো) প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে বলেই মন্তব্য করেন রাজনাথ৷ 

সীমান্তের পরিস্থিতির জন্য চিনই যে দায়ী, তা একপ্রকার স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী৷ তিনি বলেন, 'সীমান্তে ভারতীয় বাহিনী সর্বদা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু একইসঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের সংকল্প নিয়ে কখনও যেন সন্দেহ প্রকাশ না করা হয়৷’’ অপর একটি সূত্রের খবর, লাদাখে অশান্তির দায় ভারতের ঘাড়েই চাপিয়েছে চিন। অন্যদিকে, সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

আরও পড়ুন- সংসদে লিখিত প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হল কেন্দ্র, সাফল্যে খুশি বিরোধীরা

গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ ভারতীয় জওয়ান৷ এর পর ২৯/৩০ অগাস্ট রাতে ফের প্যাংগং লেকের দক্ষিণপ্রান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লাল ফৌজ৷ হ্রদের দক্ষিণে মলডোর কাছে অতিরিক্ত ট্যাঙ্কবাহিনী মোতায়েন করেছে তারা। বেড়ে গিয়েছে সাঁজোয়া গাড়ির আনাগোনা, পদাতিক সেনার সংখ্যা। পাল্টা জবাবে রেজাং লা, রেচিন লা-সহ স্প্যানগুর গ্যাপ এলাকায় স্পর্শকাতর উঁচু স্থানগুলি দখল করে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে ভারতও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 + 16 =