বিপিএল তালিকাভুক্ত ৩০.৬৫ লক্ষ পরিবারকে আর্থিক অনুদান ঘোষণা

বিপিএল তালিকাভুক্ত ৩০.৬৫ লক্ষ পরিবারকে আর্থিক অনুদান ঘোষণা

জয়পুর: সারা দেশে জাঁকিয়ে বসেছে করোনা আতঙ্ক৷ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসছে একের পর এক করোনা আক্রান্তের খবর৷ দেশের একাধিক শহরে চলছে লকডাউন৷ মঙ্গলবার ভোর থেকে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজস্থান সরকার৷ স্তব্ধ সাধারণ জনজীবন৷ কিন্তু লকডাউন চললেও ভুখা পেটে ঘুমাবে না এ রাজ্যের মানুষ, এমনটাই জানালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট৷  

করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই বেসরকারি যান চলাচল বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ট্যুইট করে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি৷ সোমবার বিকেলে ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘কোরোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে আগামীকাল থেকে রাস্তায় ব্যক্তিগত যান চলাচল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল৷ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যানবাহনই কেবলমাত্র রাস্তায় চলার ছাড়পত্র পাবে৷ সোমবার মধ্যরাত থেকেই বন্ধ থাকবে হাইওয়ে টোলপ্লাজাগুলি৷’’

এর আগে রাজ্যের মানুষকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, লকডাউন চলার সময় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘরে না থাকলে কার্ফু জারি করতে বাধ্য হবে সরকার৷ সোমবার বিকেলে ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নিজেদের জীবনের স্বার্থে এই লকডাউন সফল করুন৷ কার্ফু জারি হলে যেভাবে ঘরে থাকতে হয়, সেভাবেই নিজেদের ঘরি বন্দী করুন৷ নচেৎ পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝে পিপিএল৷ বাড়ি থেকে বেরলে রাজ্যে কার্ফু জারি করতে বাধ্য হব আমরা৷’’

পাশাপাশি এই সংকটে গরিব মানুষদের সুবিধার্থে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক সুরক্ষার অধীনে থাকা রাজ্যের ৭০ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষকে দু’মাসের আগাম বোনাস দেওয়া হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘লকডাউন চলার সময় এ রাজ্যের একটা মানুষও খালি পেটে শোবে না৷’’

এছাড়াও পেনসন প্রকল্পের আওতার বাইরে থাকা দারিদ্র সীমার নীচে (বিপিএল) বসবাসকারী ৩০ লক্ষ ৬৫ হাজার পরিবার, রাজ্যের বিপিএল এবং অন্তোদয়া প্রকল্পের উপভোক্তা, ২০ লক্ষ ৫০ হাজার নির্মাণকর্মী এবং নথিভুক্ত স্ট্রিট হকারদের এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তে রাজস্থানের প্রায় এক কোটি মানুষ উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী গেহলট৷
এখানেই শেষ নয়, ন্যাশনাল ফুড সিকিউরিটি অ্যাক্টের (এনএফএসএ) আওতায় থাকা প্রতিটি পরিবারকে দু’মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে৷ এই পরিবারগুলি বর্তমানে একা কিলো দরে গম পায়৷ রেশনের প্যাকেট দেওয়া হবে এনএফএসএ প্রকল্পের বাইরে থাকা মানুষদেরও৷ গ্রাম ও শহরে বিভিন্ন সরকারি দফতরগুলি থেকে চাল, গম, দানা শস্য, রান্নার তেল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি করা হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + one =