জয়পুর: পড়াশোনার মাঝেই জলতেষ্টা পেয়েছিল ৯ বছরের এক খুদে পড়ুয়ার। জলের খোঁজ করতে গিয়ে ভুল করে শিক্ষকের বোতল থেকেই জল খেয়ে ফেলে সে। আর সেই অপরাধেই ওই খুদে পড়ুয়াকে পিটিয়ে খুন করল স্কুলের শিক্ষক। কারণ সে একজন দলিত এবং শিক্ষক উচ্চ সম্প্রদায়ভুক্ত। সম্প্রতি এমনই লজ্জাজনক একটি ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানে। যেখানে শুধুমাত্র শিক্ষকের বোতল থেকে জল খাওয়ার অপরাধে মার খেয়ে প্রাণ গিয়েছে ন’বছরের ওই পড়ুয়ার। রবিবার সকালেই প্রকাশ্যে এসেছে গোটা ঘটনাটি এবং তারপর থেকেই দেশজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়।
মূল ঘটনাটি গত ২০ জুলাইয়ের। রাজস্থানের জালোর জেলার সায়লা গ্রামের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই দলিত পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। শিক্ষকের মারে শিশুটির চোখ এবং কানে গুরুতর চোট লাগে। মাথাতেও রক্ত জমে যায়। স্কুলের অন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে জানা যায়, আক্রান্ত ওই পড়ুয়া শিক্ষকের বোতল থেকে জল খেয়েছিল। স্রেফ সেই অভিযোগেই ওই পড়ুয়াকে ভরা ক্লাসে পেটানো শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষক।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পড়ুয়াকে এরপর চিকিৎসার জন্য আহমেদাবাদ পাঠানো হয়। সেখানে প্রায় ২০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর শনিবার রাতে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এরপরই এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় গোটা জেলায়। এমনকী, এই ঘটনার জেরে হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজস্থান সরকার।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, দ্রুত এই ঘটনার সুবিচার করা হবে। আক্রান্ত পড়ুয়ার পরিবার সুবিচার পাবেই। স্থানীয় আধিকারিকদের এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আক্রান্তের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।