দল ছাড়ছেন শচীন পাইলট? সরকার সুরক্ষিত, বলে দাবি কংগ্রেসের

দল ছাড়ছেন শচীন পাইলট? সরকার সুরক্ষিত, বলে দাবি কংগ্রেসের

জয়পুর: শচীন পাইলটের দলত্যাগের জল্পনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মরুরাজ্যের রাজনীতি৷ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পইলটের দ্বন্দ্বে সরগরম রাজস্থানের রাজনৈতিক মহল৷ ৩০ জন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে শচীন পাইলটের দলত্যাগের ইশারাতেই শুরু হয় চাপানউতোর৷ সংকটের মুখ এদিন ভোরে বৈঠকের ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য হুইপও জারি করা হয়৷ তবে বৈঠকে যোগ দেননি পাইলট৷ অন্যদিকে, সোমবারই বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করতে পারেন বলেও রাজনীতির আঙিনায় জোড় গুঞ্জন৷  

এদিকে গড় বাঁচাতে রবিবার অবিনাশ পাণ্ডে, অজয় মাকেন এবং রণদীপ সূরজেওয়ালার মতো হেভিওয়েট তিন নেতাকে জয়পুর পাঠিয়েছিল কংগ্রেস হাইকমান্ড৷ ওই দিন রাত আড়াইটে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে এই তিন প্রতিনিধি দাবি করলেন, রাজস্থানে কংগ্রেসের দুর্গ সুরক্ষিত রয়েছে। অশোক গেহলটের সরকারের পিছনে রয়েছে ১০৯ বিধায়কের সমর্থন। ২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১০১। 

এই বৈঠকের পরই ফের সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজস্থান কংগ্রেসের দায়িত্বে থাকা অবিনাশ পাণ্ডে৷ তিনি জানান, ‘‘সাক্ষর সম্বলিত চিঠিতে অশোক গেহলট, সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর প্রতি আস্থা জানিয়েছেন রাজ্যের ১০৯ জন কংগ্রেস বিধায়ক৷ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে বেশকিছু বিধায়কের৷ সোমবার তাঁরাও চিঠিতে সাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন৷ ’’ 

অন্যদিকে, কোটি কোটি টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ খরিজ করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ তবে রাজনৈতিক বিশেজ্ঞদের অভিমত, প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতোই শচীন পাইলটের বিজেপিতে যোগ দেওয়া এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা৷ 

মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই রাজস্থানের রাজনীতির আঙিনায় দেখা দিয়েছে সঙ্কটের মেঘ৷ এই টালমাটাল পরিস্থিতিতেই সোমবার দলীয় বিধায়কদের নিয়ে জয়পুরে বৈঠকের ডাক দেন অশোক গেহলট। বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য হুইপও জারি করা হয়। ব্যক্তিগত কিংবা বিশেষ কারণ না দর্শিয়ে কোনও বিধায়ক এই বৈঠকে যোগ না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়৷ এর পরেও বৈঠকে যোগ দেননি পাইলট৷ তাঁর এই অনুপস্থিতিই জল্পনায় আরও রং চড়াচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *