নয়াদিল্লি: ভারতে করোনা ভাইরাসের ইতিমধ্যে ৭৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব থেকে বেশি কেরলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এছাড়াও মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানাতেও বহু মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। হু জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস বিশ্বে মহামারীর আকার নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এবার রাষ্ট্রপতি ভবনে সাধারণ মানুষের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ডা জারি করা হল।
শুক্রবার থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে কোনও সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানা গিয়েছে। এই নির্দেশ পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিদিনই ঐতিহাসিক রাষ্ট্রপতি ভবনে বহু মানুষ আসেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের জেরে রাইসিনা হিলস সতর্কতা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে হোলি খেলেননি। এমনকী রাষ্ট্রপতি ভবনেও সমস্ত ধরনের হোলির অনুষ্ঠান করোনা আতঙ্কের জেরে বাতিল করেছেন। তবে সংসদে অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজা পর্যটকদের জন্য খুলে দিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ এবার সেই দরজা এখন বন্ধ৷
করোনা আতঙ্কের জেরে দিল্লির সমস্ত স্কুল কলেজ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হচ্ছে সমস্ত সিনেমা হল। তবে যে সব স্কুল কলেজে পরীক্ষা চলছে, সেগুলো বন্ধ রাখা হবে না বলেই জানা গিয়েছে। তবে পরীক্ষার পর সেই স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে করোনা থাবায় ইতিমধ্যে প্রায় ৪,৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিনে সব থেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে করোনাতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা চিনে ব্যাপকহারে কমতে শুরু করেছে। চিনে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক অঙ্কে এসে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে করোনা ভাইরাসেরে জন্য অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু বিধি নিষেধে শিথিলতা আনা হয়েছে। আস্তে আস্তে কয়েকটি বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে স্কুল কলেজ এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্য দিকে, ইতালিতে করোনায় চিনের পর সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে। ইতালিতে করোনা ভাইরাসের জেরে ৮২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তে মৃত্যুর হার ৩.৫ শতাংশ, ইতালিতে সেই মৃত্যুর হার ৩১ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে।