গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে যাত্রীদের দেওয়া বালিশ-কম্বল বুঝে দিতে নয়া উদ্যোগ রেলের

এবার অবাধ্য চোরকেও শায়েস্তা করতে উঠেপড়ে লেগেছে রেল কর্তৃপক্ষও। এখন থেকে গন্তব্যে পৌঁছানোর ৩০ মিনিট আগেই যাত্রীদের কাছে থেকে পাওনাগণ্ডা বুঝে নেবে রেল। তবে টাকা পয়সা নয়। ট্রেনের সম্পত্তি। বিশেষ করে দূরপাল্লার এসি কামরায় যারা ভ্রমণ করেন, তাঁদের কাছ থেকে। গন্তব্য পৌঁছানোর আগেই, যাত্রীদের দেওয়া তোষক, কম্বল, বালিশ, তোয়ালে সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দিতে হবে ক্যাটারার

গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে যাত্রীদের দেওয়া বালিশ-কম্বল বুঝে দিতে নয়া উদ্যোগ রেলের

এবার অবাধ্য চোরকেও শায়েস্তা করতে উঠেপড়ে লেগেছে রেল কর্তৃপক্ষও। এখন থেকে গন্তব্যে পৌঁছানোর ৩০ মিনিট আগেই যাত্রীদের কাছে থেকে পাওনাগণ্ডা বুঝে নেবে রেল। তবে টাকা পয়সা নয়। ট্রেনের সম্পত্তি। বিশেষ করে দূরপাল্লার এসি কামরায় যারা ভ্রমণ করেন, তাঁদের কাছ থেকে। গন্তব্য পৌঁছানোর আগেই, যাত্রীদের দেওয়া তোষক, কম্বল, বালিশ, তোয়ালে সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দিতে হবে ক্যাটারার কর্মীদের।

গণহারে এসব চুরি আটকাতেই এই অভিনব পন্থা। লোকসভায় রেলপ্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহেইনের বক্তব্য থেকেই জানা গেছে এই তথ্য। তিনি রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই রেলের খোয়া গেছে ১.৯৫ লক্ষ তোয়ালে, ৮১ হাজার ৭৩৬টি বিছানার চাদর, ৫৫ হাজার ৫৭৩টি বালিশের কভার, ৭ হাজার ৪৩টি কম্বল, ৫ হাজার ৩৮টি বালিশ, হাজারটিরও বেশি জলের কল, ৩০০টি ফ্লাশ পাইপ। ২০১৮ সালে ৭৯ হাজার ৩৫০টি তোয়ালে, ২৭ হাজার ৫৪৫টি বিছানার চাদর, ২১ হাজার ৫০টি বালিশ, ২ হাজার ৬৫টি কম্বল প্রভৃতি। যার মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকার কাছাকাছি।

শুধু তাই নয়, তেজস এক্সপ্রেসের প্রথম যাত্রাতেই খোয়া গেছে প্রচুর লাইট, হেডফোন, বাথরুমের আয়না, জলপাত্র প্রভৃতি। এমনকি এলইডি টিভি খুলে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছে। না পেরে সেগুলো ভেঙে দিয়ে গেছে। এসব সমস্যার সমাধানের জন্যই এবার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে বুঝে নেওয়া হবে এসব সম্পত্তি। যদিও মানসিকতার পরিবর্তন না হলে, পাহার দিয়ে কতটা সফলতা আসবে, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − three =