নয়াদিল্লি: পরিযায়ী শ্রমিক থেকে শুরু করে লকডাউনে আটকে পড়া পড়ুয়া, পর্যটক, রোগীদের ফেরাতে ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ ট্রেন চালিয়েছে রেল মন্ত্রক৷ লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়া যাত্রীদের বাড়ি ফেরাতে রেলের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের সাধারণ জামতা৷ রেল কুড়িয়েছে প্রশংসা৷ কিন্তু, প্রচারের আলো পেলেও এখন জানা গিয়েছে, আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য বিনা পয়সায় নয়, রীতিমত টিকিটের ভাড়া নিয়ে বাড়ি ফারানোর ব্যবস্থা করেছে রেল৷
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অধিকাংশ পরিযায়ী শ্রমিক লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন, টাকা যখন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে রোগী, পর্যটক, পড়ুয়াদের, ঠিক তখনই আটকে পড়া যাত্রীদের ফেরাতে কেন টিকিটের ভাড়া চাইছে রেল?
জানা গিয়েছে, স্লিপার ক্লাসের জন্য টিকিটের ভাড়া নেওয়া হবে পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে৷ সুপারফাস্ট চার্জ ৩০ টাকা ও অতিরিক্ত ২০ টাকা বিনিময়ে এক বার জল-খাবার দেওয়া হবে৷ ওই বিশেষ ট্রেনের জন্য একাধিক শর্তও দিয়েছে কেন্দ্র৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের আর্জি মেনে ‘শ্রমিক স্পেশ্যাল’ চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ টিকিট ভাড়া ও জল-খাবারের জন্য কেন ভুখা শ্রমিকদের উপর চার্জ বসানো হবে? মহামারীর এই পরিস্থিতিতে রেল কি ছাড় দিতে পারত না? প্রশ্ন তুলছেন শ্রমিকদের একাংশ৷
শুক্রবার শ্রমিক স্পেশ্যাল মোট ৬টি ট্রেন ছাড়ার কথা৷ কেরালা থেকে ভুবনেশ্বর, নাসিক থেকে লখনউ, নাসিক থেকে ভোপাল, জয়পুর থেকে পাটনা, কোটা থেকে হাতিয়া পর্যন্ত ট্রেন চলালচলের কথা৷