নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কৃষকদের ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের বেশ কিছু অংশে। রেলপথের কাছে জড়ো হয়েছেন শয়ে শয়ে কৃষক। কয়েকটি এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি রেল পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি পঞ্জাব ও হরিয়ানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দিল্লির সীমান্ত নিকটবর্তী গাজিয়াবাদে যেখানে প্রতিবাদী কৃষকরা নভেম্বর থেকে মহাসড়ক অবরোধ চলছে সেখানেও গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছিল।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভকারী কৃষকরা রাজ্যগুলির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছেন। কৃষক নেতারা জানিয়েছিলেন, দেশজুড়ে এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এটা তাদের নয়া কৌশল। কৃষক ইউনিয়নের সম্মিলিত সংগঠন, ‘সমযুক্ত কিষাণ মোর্চা’ কৃষির আইন বাতিল করার দাবিতে গত সপ্তাহে সারাদেশে রেল অবরোধের ঘোষণা করেছিল।
কৃষি আইনের বাতিলের দাবিতে একদিকে যেমন অনড় কৃষকরা অন্যদিকে তেমন সরকারও তার অবস্থান থেকে একচুলও নড়তে নারাজ। সরকারের সঙ্গে একাধিক দফায় আলোচনার পর কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের অচলাবস্থা কাটাতছ প্রতিবাদটি গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এই পরিকল্পনা। কৃষকরা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি আইনে ১৮ মাসের ফ্রিজের সরকারের প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “এই প্রস্তাব এখনও অপেক্ষায় আছি।”
কৃষকরা দাবী করেছেন, “সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বনিম্ন মূল্যের মূল্য ছাড় দিয়ে কৃষকের বার্ষিক আয় হ্রাস করে বেসরকারি কর্পোরেশনদের করুণায় ছেড়ে দেবে সরকার।” অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আইনগুলি কৃষিক্ষেত্রের বড় ধরনের সংস্কার করবে যা কৃষকদের মধ্যস্থদের সঙ্গে বিতরণ করতে এবং তাদের দেশের যে কোনও জায়গায় পণ্য বিক্রি করার অনুমতি দেবে।”