নয়াদিল্লি : ‘সুপ্রিম কোর্টও মেনে নিয়েছে চৌকিদার চোর’ মন্তব্যের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। ৩ পাতার হলফনামা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন রাহুল। হলফনামায় তিনি জানান, অনিচ্ছাকৃতভাবে রাফায়েল মামলার সঙ্গে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্য জুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
গত ৩০ এপ্রিল ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ মন্তব্যের জন্য শীর্ষ আদালতে ক্ষমা চান কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু সেই হলফনামায় কিছু ভুল থাকায় বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হয়। আদালতে অতিরিক্তি হলফনামা জমা দেন রাহুল গান্ধি। এর আগে এই মন্তব্যে তিনি দুঃখপ্রকাশ করলেও ক্ষমা চাননি।রাফাল চু্ক্তি নিয়ে মোদি সরকারের সব যুক্তি নাকচ করে দিয়ে, ফাঁস হওয়া নথি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।
সেদিনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টে মেনে নিয়েছে যে, রাফাল চুক্তিতে কিছু না কিছু দুর্নীতি হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন বিজেপি নেত্রী মীণাক্ষি লেখি। এরপর সুপ্রিম কোর্টের নোটিসের জেরে হলফনামার মাধ্যমে রাফাল রায় নিয়ে মন্তব্য করায় দুঃখ প্রকাশ করেন কংগ্রেস সভাপতি। নির্বাচনী প্রচারের উত্তেজনায় বলে ফেলেছেন বলে যুক্তি দিয়েছিলেন রাহুল।
কিন্তু হলফনামায় দেওয়া সেই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হয়নি দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তার পর সেই মামলার শুনানিতে রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি স্বীকার করে নেন, তিনটি ভুল ছিল রাহুলের হলফনামায়। নতুন হলফনামা জমা দেওয়ার অনুমতি চান রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। রাহুলের সেই আবেদনে সায় দিয়ে নতুন হলফনামা দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সেই হলফনামা জমা পড়ে কংগ্রেস সভাপতির তরফে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘রাহুল গান্ধি নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। যা হয়েছে সম্পূর্ণ রূপে অনিচ্ছাকৃত ও অসাবধানতাবশত হয়েছে।
ন্যায় বিচারের প্রক্রিয়ায় সরাসরি বা পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করার কোনও অভিপ্রায় কখনও ছিল না’। ৩ পাতার হলফনামায় আদালত অবমাননার মামলা বন্ধ করারও আর্জি জানিয়েছেন রাহুল।আর রাহুল ক্ষমা চাইতেই আসরে নামতে দেরি করেনি গেরুয়া ব্রিগেড। প্রথমেই রাহুলকে খোঁচা দিয়ে টুইট করেন মামলাকারী বিজেপি নেত্রী মীণাক্ষি লেখি। পরে দলগত ভাবেও রাহুলের দলকে বেঁধে বিজেপি। আদালত অবমাননার মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে শুক্রবার। সেদিনই রাফাল রায় পুনর্বিবেচনার মামলাটিরও শুনানি হওয়ার কথা।