আজ বিকেল: ভোট মিটলেও গোটা বাংলা জুড়ে অশান্তির শেষ নেই। উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত রবিবার থেকেই উত্তপ্ত হয়ে আছে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়া ভাটাপাড়া চত্বর। শিয়ালদহ মেনলাইনে ট্রেন অবরোধ থেকে শুরু করে যাত্রী হয়রানি, কোনও কিছুই বাদ যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ২৩ তারিখে ভোটের ফলাফল কি হতে চলেছে তানিয়ে দরকষাকষি থেকে শুরু করে বেটিং সবই পুরোদমে চলছে। লোকসভার ফলাফল বেরলে কোন রাজনৈতিক দলের হাতে যাচ্ছে ১৩০ কোটি ভারতীয়র ভাগ্যে চাবিকাঠি, তানিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া বিশ্লেষণ। আজ বিকেলের তরফেও এমনই জনমত সমীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। ফের কি দেশবাসীর চৌকিদারিত্বের ভার নিয়ে ক্ষমতায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি? নাকি ১৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার দুঃখ ভুলতে না পেরে দেশবাসী রাহুল গান্ধীর ৭২ হাজারিতে মনোনিবেশ করেছে?
উল্লেখ্য, যতই জিএসটি-র কাঁটা খচখচিয়ে বসুক না কেন মোদিকেই সবথেকে বেশি ভরসাযোগ্য মনে করে দেশের বেশিরভাগ মানুষ। সমীক্ষা অন্তত তেমনটাই বলছে। কিন্তু তাই বলে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী চান না, এমন ধারণাও ঠিক নয়। যাঁরা আদ্যপান্ত কংগ্রেস সমর্থক তাঁদের কাছে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর গ্রহণযোগ্যতা এতটাই বেশি যে রাহুলকে প্রধামন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অনেকেই রাজি। তবে গান্ধী পরিবারের এই উত্তর প্রজন্ম ভারতীয় রাজনীতিতে তেমন কোনও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেননি, তাই অনেক কংগ্রেসিও তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে দেখতে নারাজ। যাই হোক, চৌকিদারের সমর্থনে ওঠা হাতের সংখ্যা গাহুল গান্ধীকে নিঃসন্দেহাতীত ভাবেই লজ্জা দেবে।