নয়াদিল্লি: কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলতে থাকা কৃষকদের আন্দোলন দিন দিন উত্তাপ বাড়াচ্ছে দিল্লির রাজনীতিতে। এক্ষেত্রে অন্নদাতা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতেই আছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কৃষি আইনের শুরু থেকেই এর চূড়ান্ত বিরুদ্ধতায় সামিল হয়েছেন তিনি। এদিন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সেই বিরোধিতারই আরো একবার সাক্ষী থাকল রাজস্থান।
ভারতের কৃষি ব্যবস্থা ভারতমাতার চরণে সমর্পিত, পুঁজিবাদী শিল্পপতিদের জন্য এই ব্যবস্থা নয়, এদিন রাজস্থানের এক জনসভা থেকে এমনটাই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রের মোদী সরকারের নীতির সমালোচনা করতে গিয়ে এদিন তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন উনি অনেক বিকল্প দিয়েছেন। হ্যাঁ তা তিনি দিয়েছেন, ক্ষুধা বেকারত্ব এবং আত্মহত্যার বিকল্প দিয়েছেন তিনি।” কৃষি আইন বাতিল না করলে যে আন্দোলনকারী কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো আলোচনাই করবেন না, সেকথাও জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
শনিবার রাজস্থানের আজমিরের রূপনগর শহরে জনসভায় যোগ দেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি ছাড়াও তাঁর এদিনের আক্রমণের লক্ষ্যে ছিলেন দেশের ধনী শিল্পপতিরা। তাঁদের লাভের জন্যেই কৃষি আইনের মতো ‘কালা কানুন’ এনেছে সরকার, বলেন তিনি। আম্বানি বা আদানি কারোর নাম না করেই রাহুল গান্ধী বলেন, “আজ শুধুমাত্র একজন শিল্পপতির গোডাউনে গিয়ে জমা হয় ভারতীয় ফসলের ৪০%। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন এই ব্যক্তিকে ৮০-৯০% ফসল পাইয়ে দেবে।”
বস্তুত, কৃষক আন্দোলনের আবহে আদানি গ্রুপের তরফ থেকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তাঁরা কোনো ফসল কৃষকদের কাছ থেকে কেনেন না, ফসলের দামও তাঁরা নির্ধারণ করেন না। অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে তাঁরা জানান কৃষকদের উৎপন্ন ফসল সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI)।
এদিন কেন্দ্র বিরোধিতায় কর্মসংস্থানকেও হাতিয়ার করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, কৃষি আইন প্রযুক্ত হলে দেশের একজন যুবক যুবতীও চাকরি পাবেন না। এই আইন আদতে প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদেরই সাহায্য করবে, কৃষক বা সাধারণ মানুষকে নয় জানান তিনি।