rahul gandhi
নয়াদিল্লি: সম্প্রতি লোকসভা এবং রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত মহিলা সংরক্ষণ বিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, মহিলাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের যে গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছিল, তার প্রমাণ এই বিল। একই সঙ্গে এও জানান, বিজেপি তিন দশক ধরে এই বিল আইনে পরিণত করার চেষ্টা করছিল। তাতে সফল হয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সম্পূর্ণ অন্য দাবি করে একহাত নিয়েছেন মোদী সরকারকে। তাঁর কথায়, এই বিল পাশ হলেও তা কার্যকর করতে চায় না কেন্দ্র।
মহিলা সংরক্ষণ বিলের পক্ষে রাজ্যসভায় ভোট পড়েছে ২১৫টি৷ বিপক্ষে শূন্য। অন্যদিকে লোকসভায় বিলের পক্ষে ভোট পড়েছিল ৪৫৪, আর বিপক্ষে মাত্র ২। কিন্তু এরপরেও রাহুল গান্ধীর যা বক্তব্য তাতে চর্চা শুরু হয়েছে। ওয়ানড়ের কংগ্রেস সাংসদ স্পষ্ট বলেছেন, সংসদ বা বিধানসভাগুলিতে এখনই মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করে দেওয়া যায়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেটা করতে চায় না। কেউ জানে না কবে এই বিল কার্যকর হবে, আদতে হবে কিনা। হয়তো এই বিল কার্যকর হতে আরও ১০ বছর লেগে যাবে। এমনই দাবি তাঁর। এই ইস্যুতে এক বিস্ফোরক দাবিও করেছেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য, ওবিসি জনগণনা এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই পাশ করানো হয়েছে এই বিল।
মনে রাখতে হবে, ১৯৯৬ সালে লোকসভায় প্রথমবার মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করেছিল এইচ ডি দেবগৌড়া সরকার।তার পর প্রায় ২৭ বছর অতিক্রান্ত। দেবগৌড়ার পর ইন্দ্রকুমার গুজরাল, অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং মনমোহন সিং জমানাতেও মহিলা সংরক্ষণ বিল লোকসভায় পেশ করে তা পাশ করার চেষ্টা হয়েছে। ২০১০ সালে মনমোহন সিং সরকার অবশ্য রাজ্যসভায় বিলটি পাশ করাতে সফল হয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভায় বিলের পক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন না মেলায়, তা সম্ভব হয়নি৷