নয়াদিল্লি: কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। এই নির্বাচনের দ্বারা হাত শিবির যেন আবার উজ্জীবিত হয়েছে। রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার পর কোনও বড় রাজ্যে ভোট হল এবং তাতেই দলের বাজিমাত। আপাতত যা ট্রেন্ড তাতে কংগ্রেসই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করছে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এই নিয়ে কংগ্রেসের সদস্য, সমর্থক, নেতা, কর্মীরা আনন্দে মাতোয়ারা। কিন্তু খোদ রাহুল গান্ধী কী ভাবছেন? সংবাদমাধ্যমের সামনে সেটাই উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল স্পষ্ট বলেন, ঘৃণা হেরে গিয়েছে আজ, ভালোবাসা জিতেছে। তারা এই নির্বাচনের জন্য ঘৃণা বা হিংসাকে ব্যবহার করেননি। একদিকে ছিল গরীব মানুষের শক্তি, অন্যদিকে ছিল কর্পোরেট ক্ষমতা। রাহুলের কথায়, শক্তি ক্ষমতাকে হারিয়ে দিয়েছে। ভালবাসার কাছে হেরে গিয়েছে ঘৃণা। এই ভোটে জয়ের পর দলের নিচুতলার কর্মীরা যে উজ্জীবিত হবেন, তা বলাই বাহুল্য। আর তাই এমন দাপুটে জয়ের পর সেই রাজ্যের সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বাঙালি আবেগ জাগিয়ে তুলতেই রবীন্দ্র সন্ধ্যায় সামিল শাহ? ভোটবাক্সের দিকে নজর শাহের ?” width=”853″>
বিরোধীরা ইতিমধ্যেই প্রচার করতে শুরু করেছে যে ‘মোদী ম্যাজিক’ শেষ হয়ে আসছে। এতে যে বিজেপির কতটা সমস্যা বাড়বে সেটা সকলেই জানেন। মনে রাখতে হবে কর্ণাটক নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রচারে গিয়ে ১৭টি সভা করেছেন। তাই বিজেপির হারে নিশ্চিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর ‘ফেসলস’ হয়েছে। আবার কর্ণাটকের ফলাফল জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। তারা শুধু যে বিজেপির বিকল্প নয় সেটাও স্পষ্ট হল।