নয়াদিল্লি: দীর্ঘ তালবাহানা পর অবশেষে লড়চওড়া চিঠি লিখে কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাহুল গান্ধী৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই রাহুল গান্ধীর স্বাক্ষর করা চিঠি প্রকাশ করে জানিয়েছে, রাহুল তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন৷ লিখেছেন, ‘‘২০১৯ সালের নির্বাচনের দলের হারের জন্য আমি দায়ী৷ আমাদের দলের ভবিষ্যতের নিশ্চিত করা এখন গুরুত্বপূর্ণ৷ আমি কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছি৷’’ টুইট করে দলের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনের পরামর্শও দেন সোনিয়া পুত্র৷ বাধ্য হয়েই দলের এক নেতাকে ফোন সোনিয়ার৷
দলের হারের দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদে থেকে ইস্তফার দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী৷ দলের ভরাডুবির পর কংগ্রেসের দলনেতার পদ নিতেও চাননি সোনিয়া পুত্র৷ মোদির ডাকা সভাপতিদের বৈঠকেও ছিলেন গরহাজি ছিলেন তিনি৷ দলের মুখ্যমন্ত্রী থেকে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকেও তিনি একই দাবি জানিয়ে আসেন৷
সূত্রের খবর, রাহুলের পদত্যাগের পর জরুরি ভিত্তিতে সুশীল কুমার সিন্ধকে ফোন করেন সোনিয়া গান্ধী৷ পদলের পরবর্তী সভাপতি পদের জন্য তিনি রাজি কি না তাও জানতে চান৷ সূত্রের খবর, খুব দ্রুত এই পদে নির্বাচন হতে চলেছে৷ এদিন টুইটারে রাহুল লেখেন, ‘‘আমি আর সভাপতি নেই৷ অনেক আগেই ইস্তফা দিয়ে দিয়েছি৷ কেন এখনও সভাপতি নির্বাচন হচ্ছে না৷ কবে হবে তাও জানি না৷ দলের উচিত পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন করা৷’’
Rahul Gandhi: As president of the Congress party, I’m responsible for the loss of the 2019 elections, accountability is critical for the future growth of our party. It is for this reason that I have resigned as Congress president. pic.twitter.com/igokkZpMLs
— ANI (@ANI) July 3, 2019
It is an honour for me to serve the Congress Party, whose values and ideals have served as the lifeblood of our beautiful nation.
I owe the country and my organisation a debt of tremendous gratitude and love.
Jai Hind ?? pic.twitter.com/WWGYt5YG4V
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 3, 2019
এর আগে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সভাপতি রাহুলের ইস্তফার সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকার করে দল৷ রাহুল যদিও সিদ্ধান্তে অনড়৷ এই অচলাবস্থার মধ্যেই কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তিনি থাকতে নারাজ বলে আগেই জানান রাহুল৷ সভাপতি পদে বসেন কে? এ বিষয়ে রাহুলের কোনও প্রাথমিক সিদ্ধান্ত জানাননি বলেও খবর৷ এমনকী, সভাপতি বাছতে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাও জানান সোনিয়া পুত্র৷
আগেই রাহুল সাংবাদিকদের জানান, সিস্টেমের মধ্যে দায়িত্ব চিহ্নিত করার পাশাপাশি দায় স্বীকারের ব্যবস্থা থাকা উচিত৷ আমি সেই প্রক্রিয়ায় জড়াতে চাই না৷ তাতে পরিস্থিতি শুধু জটিল হবে৷ দলকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ কিন্তু, দলের ভরাডুবির পর হঠাৎ কেন হাল ছেড়ে দিতে চাইছেন রাহুল? হারের পর ঘুরে না দাঁড়ালে আদতে যে দলের ক্ষতি৷ এই পরিস্থিতি রাহুলের হাল ছেড়ে দেওয়ার মনোভাব দেখে অনেকেই বলছে, তাহলে কি অবসর নিতে চলেছেন ৪৯ বছরের রাহুল? রাহুলের ছেড়ে যাওয়া পদে কি বোন প্রিয়াঙ্কাকে বসানোর ভাবনা? চলছে নানান জল্পনা৷