‘ভারত মাতা ভারতবাসীর কণ্ঠস্বর’, স্বাধীনতা দিবসে খোলা চিঠি রাহুলের

‘ভারত মাতা ভারতবাসীর কণ্ঠস্বর’, স্বাধীনতা দিবসে খোলা চিঠি রাহুলের

নয়াদিল্লি: ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গোটা দেশজুড়েই সকাল থেকে কার্যত উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন প্রান্তে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন হয়েছে, চলছে নানা অনুষ্ঠান। লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে নানা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এদিকে যেমন মণিপুর ইস্যুতে মুখ খুলেছেন তিনি, আবার বিরোধীদের খোঁচা দিতেও ছাড়েননি। অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সরাসরি বিজেপির উদ্দেশ্যে কোনও কথা না বলে ‘ভারত মাতা’ নিয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন দেশবাসীর জন্য। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করেছেন তিনি। 

রাহুল নিজের চিঠির শুরুতেই কবি রুমির কবিতার এক পংক্তি উল্লেখ করেছেন। যার মূল অর্থ, হৃদয় থেকে বলা কোনও কথা সরাসরি হৃদয় গিয়ে পৌঁছয়। এরপর তিনি চিঠিতে লেখেন, ”গত বছর ১৪৫ দিন ধরে আমি আমার মাতৃভূমি দিয়ে হেঁটেছি। সমুদ্রতট থেকে শুরু হয়েছিল সেই যাত্রা। রোদ, গরম, ধুলো ও বৃষ্টিতে হেঁটেছি। জঙ্গল, শহর, পাহড় দিয়ে হেঁটেছি। যতক্ষণ না আমার প্রিয় কাশ্মীরের নরম তুষারে পা রেখেছি, ততক্ষণ হেঁটেছি। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে আমি এটা কেন করছি, এখনও আমাকে তা জিজ্ঞেস করে লোকে।” রাহুল জানান, তিনি যা ভালোবাসেন, তা উপলব্ধি করতে চেয়েছিলেন। এই যাত্রার দ্বারা তিনি কী কী উপলব্ধি করেছেন তার ব্যাখ্যাও তিনি এই চিঠির মাধ্যমে দিয়েছেন। 

কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য, প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা হাঁটতেন তারা। নানা কোলাহল হত সবদিনই। কিন্তু একদিন তিনি এই যাত্রায় নিস্তব্ধতা অনুভব করেন। একজন কৃষক তাঁর হাত ধরে কিছু বলেছিলেন। তিনি যেন শুধু সেটাই শুনতে পেলেন। ওই কৃষক না খেয়ে ছিলেন। এরপর রাহুল আরও জানান, এমনটা বারবার হয়েছে তাঁর সঙ্গে। যাত্রার সময় এক শীতের সকালে তিনি দেখেন কয়েকজন শিশুকে ভিক্ষা করতে বাধ্য করা হয়েছে। এবং সেই শিশুরা ঠান্ডায় কাঁপছে। এরপর থেকেই তিনি শুধু একটি জামা পরেই যাত্রা করার সিদ্ধান্ত নেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =