নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলনে নেমেছে কৃষকরা। তাদের একটাই দাবি এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কৃষি আইন নিয়ে অনড় রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি কৃষকদের সঙ্গে সরাসরিভাবে সদর্থক আলোচনা হয়নি এখনো সরকারের নেতৃত্বের। এই পরিস্থিতিতে এবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দ্বারস্থ কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির দরবারে গেল কংগ্রেসের একটি দল। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এই দলে ছিলেন বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদ, লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিপক্ষে কমপক্ষে ২ কোটি স্বাক্ষর জোগাড় করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিগত তিনমাস ধরে এই কার্য সম্পন্ন হয়েছে। সেই তথ্যই এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রামনাথ কোবিন্দকে দিয়ে আসে রাহুল গান্ধী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের দল। এই প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন কৃষি আইন আদতে কৃষক বিরোধী। গোটা দেশের কৃষক সমাজ এই আইনের বিরোধিতা করছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা দিয়েছেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার এই নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করছে ততক্ষণ দেশের কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত সংসদে এই নিয়ে আলোচনা করে এই মুহূর্তে কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া। প্রসঙ্গত এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন রাহুল গান্ধীর বোন তথা উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের মুখ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যদিও রাষ্ট্রপতি ভবন যেতে তাকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ এবং তাঁকে আটক করা হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে এদিন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী আরও বলেন, যারা যারা এই কৃষক আন্দোলন সমর্থন করে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করছে তাদের সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে দেওয়া হচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক এমনকি আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও যদি কৃষকদের সমর্থন করেন তাকেও সন্ত্রাসবাদী বলে দেবে এই সরকার। তিনি আরো বলেন, ভারতে এখন কোন গণতন্ত্র নেই, যদি থেকে থাকে সেটা অবাস্তব। নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির সুবিধা করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অর্থ উপার্জন করছেন। এবার যদি কেউ তাকে নিয়ে সমালোচনা করে তাকে বিজেপি সরকার সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে দিচ্ছে।