শুনেছি রাহুল গান্ধি হোমো সেক্সুয়াল! কংগ্রেসকে পাল্টা হিন্দুমহাসভার

একদিন আগে ভোপালে কংগ্রেস সেবাদলের পক্ষে এক পু্স্তিকা বিলি করে দাবি করা হয়েছিল, সাভারকর ছিলেন হোমো সেক্সুয়াল৷ তাঁর সঙ্গে নাথুরাম গডসের রীতিমতো শারীরিক সম্পর্কও হয়েছিল৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার পাল্টা দিল হিন্দু মহাসভা৷ অখিল ভারতীয় হিন্দুমহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণী এদিন বলেন, “শুনেছি রাহুল গান্ধি নাকি হোমো সেক্সুয়াল৷”

d66d2be5a1905e4e6c66aa00626f8578

নয়াদিল্লি: একদিন আগে ভোপালে কংগ্রেস সেবাদলের পক্ষে এক পু্স্তিকা বিলি করে দাবি করা হয়েছিল, সাভারকর ছিলেন হোমো সেক্সুয়াল৷ তাঁর সঙ্গে নাথুরাম গডসের রীতিমতো শারীরিক সম্পর্কও হয়েছিল৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার পাল্টা দিল হিন্দু মহাসভা৷ অখিল ভারতীয় হিন্দুমহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণী এদিন বলেন, “শুনেছি রাহুল গান্ধি নাকি হোমো সেক্সুয়াল৷”

ভোপালে কংগ্রেসের একটি কর্মশালায় গতকাল একটি পুস্তিকা বিলি করা হয়, 'হাউ বীর ওয়াজ বীর সাভারকার'৷ সেখানে সাভারকার সম্বন্ধে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়৷ যার সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়, দমিনিক লাপিয়ের ও ল্যারি কলিন্সের লেখা ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইটকে৷ কংগ্রেসের তরফে স্পষ্ট বলা হয়, বইটি ঐতিহাসিক সত্যের ওপর ভিত্তি করে লেখা৷ এমনিতে স্বাধীনতা আন্দোলনে সাভারকারের ভূমিকা, ইংরেজদের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে জেল থেকে সেলুলার জেল থেকে বেরনোর কথা তো সেখানে ছিলই৷ তার সঙ্গে ছিল বেশ কিছু বিতর্কিত তথ্যও৷

যেমন সাভারকার এতটাই মুসলিম বিদ্বেষী ছিলেন যে, মাত্র ১২ বছর বয়সে নাকি মসজিদে ঢিল ছোড়েন৷ শুধু তা-ই নয়, সেইসঙ্গে দাবি করা হয়, নেতাজির আজাদহিন্দ ফৌজের বিরোধিতা করেছিলেন সাভারকার৷ তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত ছিল একটি তথ্য৷ আর তা হল, গান্ধি হত্যাকারী নাথুরাম গডসে ব্রম্ভচর্য নেওয়ার আগে একবারই শারীরিক সম্পর্কে গিয়েছিলেন৷ এবং সেই সম্পর্ক হয়েছিল তাঁর রাজনৈতিক গুরু বীর সাভারকারের সঙ্গে৷

একদিন আগে কংগ্রেসের এই পু্স্তিকার বিলির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আসরে নেমেছে সাভারকার প্রতিষ্ঠিত হিন্দু মহাসভা৷ এদিন অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণী মন্তব্য করেছেন, “রাহুল গান্ধি সম্পর্কেও তো একই গুজব শোনা যায়৷ শুনেছি তিনি হোমো সেক্সুয়াল৷”

এদিকে হোমো সেক্সুয়ালিটি বা সমকামিতা নিয়ে এই চাপানউতোরের মাঝে এলজিবিটি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, “এত কিছুর পরও আমাদের মানসিকতার কোনও পরিবর্তন হল না৷ সেই আগের মতোই কাউকে হেয় করার জন্য আজও বেছে নেওয়া হচ্ছে 'হোমো' শব্দটি৷”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *