মোদিকে ‘চোর’ বলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাহুল গান্ধী

নয়াদিল্লি: চৌকিদার চোর মন্তব্যের জন্য এবার নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাহুল গান্ধী৷ আজ দেশের শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে রাহুল গান্ধী তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষতা চেয়ে নেন৷ যদিও এর আগেও দু’বার হলফনামা পেশ করে রাহুলের তরফে ক্ষমা চাওয়া হলেও তাতে ‘ত্রুটি’ ছিল বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় শীর্ষ আদালতের তরফে৷ রাহুলের মন্তব্যের ব্যাখাও চাওয়া হয় সুপ্রিম

মোদিকে ‘চোর’ বলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাহুল গান্ধী

নয়াদিল্লি: চৌকিদার চোর মন্তব্যের জন্য এবার নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাহুল গান্ধী৷ আজ দেশের শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে রাহুল গান্ধী তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষতা চেয়ে নেন৷ যদিও এর আগেও দু’বার হলফনামা পেশ করে রাহুলের তরফে ক্ষমা চাওয়া হলেও তাতে ‘ত্রুটি’ ছিল বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় শীর্ষ আদালতের তরফে৷ রাহুলের মন্তব্যের ব্যাখাও চাওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে৷

চৌকিদার চোর হ্যায় মন্তব্যটি সুপ্রিম কোর্টের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য আগেই দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন রাহুল। বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষি লেখির করা মামলায় রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি শীর্ষ আদালতকে এই ক্ষমাপ্রার্থনার কথা জানান। রাহুলকে ক্ষমাপ্রার্থনা করে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত৷ সেই নির্দেশের ভিত্তেতে আজ নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাহুল গান্ধী৷

এর আগে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর বেঞ্চের কাছে রাহুল তাঁর দ্বিতীয় হলফনামায় তাঁকে জরিমানা নিয়ে মামলা খারিজ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, তিনি সুপ্রিম কোর্টের রাফাল সংক্রান্ত আদেশটি পড়ে দেখেননি এবং নির্বাচনী প্রচারের উত্তেজনায় ওই মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে, রাফাল মামলার পুনর্বিবেচনার মামলায় কেন্দ্রের জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে কেন্দ্রের তরফে হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চাওয়া হয়েছিল।

রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সর্বোচ্চ আদালত গত ১৫ এপ্রিল তাঁকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিল। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ স্পষ্ট জানায়, তাঁর বক্তব্য মিডিয়ায় ভুল ভাবে তুলে ধরেছেন রাহুল। বেঞ্চ বলে, আমরা পরিষ্কার বলছি, মিডিয়ায় রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে এই আদালতের অভিমত বলে যা বেরিয়েছে, তা ভুল ভাবে হাজির করা হয়েছে। আমরা কখনই অমন অভিমত জানাইনি। আমরা কেবলমাত্র তথ্য-নথির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। রাজনৈতিক নেতাদের ভাষণে নিজেদের মতামত আদালতের মুখে বসানো থেকে বিরত থাকতেও বলে ওই বেঞ্চ। রাহুল নিজের হলফনামায় জানিয়েছেন, আদালত ওসব কখনও বলেনি। তিনি উত্তপ্ত রাজনৈতিক প্রচারের আবহে ওই মন্তব্য করেছেন, বিরোধীরা যার অপব্যবহার করেছে। আদালতের রায় ভুল ভাবে দেখানোর কোনও অভিপ্রায়ই ছিল না তাঁর।

একটি জনসভায় রাহুল বলেন, ‘‘আমি প্রথম থেকেই বলছি, এবার সুপ্রিম কোর্টও মেনে নিল যে চৌকিদার নরেন্দ্র মোদী চোর হ্যায়৷’’ কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্যের পরই তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেত্রী মিনাক্ষী লেখি৷ দায়ের হয় মামলা৷ এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দেয়, তারা কোথাও এমন কথা বলেনি, ‘চৌকিদার নরেন্দ্র মোদি চোর হ্যায়৷’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − 1 =