নয়াদিল্লি: দেশের অর্থনীতির হাল সঙ্গীন৷ দীর্ঘ লকডাউনে ধাক্কা খেয়েছে ডিজিপি৷ দেশে গ্রস ডমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি)-এর পতন, বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী৷
আরও পড়ুন- করোনা টিকা না আসা পর্যন্ত কী করতে হবে? দেশবাসীকে মন্ত্র দিলেন মোদী
এদিন ব্যঙ্গ করে রাহুল বলেন, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে ‘সুপরিকল্পিত’ লড়াইয়ের জন্য দেশ রসাতলে গিয়েছে৷ ১.ইতিহাসে এই প্রথম দেশের জিডিপি-তে ২৪ শতাংশ পতন ঘটেছে৷ ২. দেশের ১২ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছে৷ ৩. বাড়তি ১৫.৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা চেপেছে৷ এবং ৪. প্রতিদিন সমগ্র বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু ঘটছে ভারতে৷ কিন্তু ভারত সরকার ও সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘সবকিছু চাঙ্গা’৷ ’’ করোনা সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যর্থ বলেও এদিন সুর চড়ান সোনিয়া তনয়৷ তিনি বলেন, আক্রান্তের নিরিখে ব্রাজিলকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত৷ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দেশ৷ করোনা প্যান্ডেমিক নিয়ে কেন্দ্র কী ভাবছে, দেশের মানুষকে তা জানাতে হবে বলেও দাবি জানান রাহুল৷
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘‘মোদী শুধুই নিজের বন্ধুদের কথা শুনছেন আর তাঁদেরই বিকাশ ঘটাচ্ছেন। দেশের যুব সমাজ যখন নিজেদের হকের টাকার দাবিতে উপার্জনের সুযোগ চাইছে, তখন চুপ করে রয়েছেন মোদী। দেশের যুব সমাজের সমস্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেও দাবি তাঁর৷
আরও পড়ুন- মে মাসেই দেশে করোনা আক্রান্ত ৬৪ লক্ষ, ICMR সেরো সমীক্ষায় উদ্বেগ
ক’দিন আগেও টুইট করে একহাত নিয়েছিলেন এই কংগ্রেস সাংসদ৷ কেন্দ্রীয় অর্থনীতির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি৷ রাহুল বলেন, “দেশের অর্থনীতির পতনের অন্যতম কারণ গব্বর সিং ট্যাক্স বা জিএসটি।” তাঁর দাবি, এই কর নীতির ফলে লক্ষাধিক গরিব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কোটি কোটি মানুষ কাজ খুইয়েছেন। রাজ্যগুলির অর্থনীতিতেও এই কর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি নীতির বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বানও জানান রাহুল। আগামী সোমবার থেকে শুরু হতে চলে বাদল অধিবেশন৷ স্বাভাবতই সংসদে দেশের কোভিড পরিস্থিতি, জিডিপি এবং সীমান্ত ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিঁধতে চলেছে কংগ্রেস৷