যোগী রাজ্যে ইস্তেহার কংগ্রেসের, যুব-নারী ক্ষমতায়ন ছাড়া আর কী চমক থাকছে?

যোগী রাজ্যে ইস্তেহার কংগ্রেসের, যুব-নারী ক্ষমতায়ন ছাড়া আর কী চমক থাকছে?

c7c9db647a737d369a00fd0932f1ce8b

 

নয়াদিল্লি: শুরু হয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটের কাউন্টডাউন৷ ইতিমধ্যেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস৷ এবার প্রকাশিতহল কংগ্রেসের ইস্তেহার৷ আজ শুক্রবার কংগ্রেসের সদর দফতর থেকেই এই ইস্তেহার প্রকাশ করা হল। ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। 

আরও পড়ুন- ইন্ডিয়া গেটে বসছে নেতাজির বিশাল গ্রানাইট মূর্তি, টুইটে জানালেন নমো

একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে একসঙ্গে দেখা গেলেও তাঁদের কখনই একত্রে সাংবাদিক বৈঠক করতে দেখা যায় না৷ তবে উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের গুরুত্ব বুঝেই এবার একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের ইস্তেহার প্রকাশ করলেন রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী৷ পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা ও কেসি বেণুগোপালও৷ এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকেই একটি সামাজিক প্রচারের সূচনাও করে কংগ্রেস৷ সেখানে নির্বাচনী ইস্তেহারে করা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতিগুলি তুলে ধরা হবে। কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, তাঁদের লক্ষ্য নারী ও যুব সম্প্রদায়ের বিকাশ। উত্তরপ্রদেশে ভোটে কংগ্রেসের স্লোগান ‘লড়কি হু, লড় সাকতি হু’৷ সেই লক্ষ্যতেকেসামনে রেখেই দলীয় ইস্তেহারে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়াও দলের তরফে মহিলাদের জন্য ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হচ্ছে৷ 

‘ভারতী বিধান’ নামের কংগ্রেসের ইস্তেহারে  ৪০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮ লক্ষ চাকরি সংরক্ষিত থাকবে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্যে৷  ১ লক্ষ অধ্যাপকের শূন্যপদ পূরণ করা হবে। সেই সঙ্গে অঙ্গনওয়ারি কর্মীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনা রয়েছে বলে ইস্তেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

কেবল চাকরির প্রতিশ্রুতিই নয়, যোগী সরকারকে খোঁচা দিয়ে রাহুলের দাবি, কীভাবে রোজগারের পথ সৃষ্টি করতে হয়, সেটা দেখাতে চায় কংগ্রেস। কোনও ‘মিথ্যে সংখ্যা’ দিয়ে নয়, যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের চাহিদা মতোই কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে রাহুল দাবি,  গত ৫ বছরে উত্তরপ্রদেশে চাকরি হারিয়েছেন ১৬ লক্ষ মানুষ। অথচ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ছিল প্রতি বছর ২ কোটি কর্মসংস্থান করা হবে। সত্যিটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন।

 ইস্তেহারে  কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি,  ক্ষমতায় এলে প্রতিযোগিতামূক পরীক্ষার উপর থেকে সব রকম ফি তুলে নেওয়া হবে। বাস-ট্রেনেও পরীক্ষার্থীদের কোনও ভাড়াও দিতে হবে না। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দেওয়া হবে ফলাফল প্রকাশ বা ইন্টারভিউয়ের তারিখও। এই নিয়ম মানা না হলেই দেওয়া হবে কড়া শাস্তি। গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে তৈরি হবে জব ক্যালেন্ডার।
 

 

এদিকে, উত্তরপ্রদেশের ৪০৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৬৬ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। সাত দফার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ১০ ফেব্রুয়ারি৷ ওই দিন ৯৪টি আসনে ভোট হবে। এদিকে ভোটের আগে  সাহারানপুর জেলার দুই বর্তমান বিধায়ক- নরেশ সাইনি এবং মাসুদ আখতার সহ বেশ কয়েক জন কংগ্রেস নেতা দল ছেড়েছেন। এই তালিকায় রয়েছে ইমরান মাসুদ ও পঙ্কজ মালিকের মতো বর্ষীয়ান নেতারাও৷ ফলে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে প্রভাবশালী প্রার্থী খুঁজে বের করাটা কংগ্রেসের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জের৷ 

উত্তরপ্রদেশ ভোটে সামনে থেকে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেস প্রায় তিন দশক ধরে উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় নেই৷ এবারও তাদের প্রত্যাবর্তনের আশা বিশেষ দেখছে না রাজনৈতিক মহল৷ ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টিই শুধু নয়, কংগ্রেসকে কড়া টক্কর দিতে প্রস্তুত  সমাজবাদী পার্টি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *