শ্রীনগর: পুলওয়ামা হামলার বদলা নিল ভারত৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ১২টি মিরাজ হামলা চালায়। পাক জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ১০০০ কেজি বোমাবর্ষণ করা হয় বলে সূত্রের খবর৷ কিন্তু, জানেন কী এই হামলা পেছনে রয়েছে রাফাল নির্মাতার হাত?
জানা গিয়েছে, যে যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করে আজ হামলা চালিয়েছে ভারত, তা পিছনে রাফাল নির্মাতা সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশনের হাত৷ কেনেনা, যে ১২টি মিরাজ যুদ্ধবিমান হামলা চালায়, তা নির্মান করেছে রাফাল নির্মাণকারী সংস্থা দাসো৷ মিরাজ বিমান ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল। এই বিমান তৈরি করে ফরাসি সংস্থা ড্যাসল্ট অ্যাভিয়েশন। যে সংস্থা বিতর্কিত রাফালে বিমানও তৈরি করে। বিমানের পুরো নাম ড্যাসল্ট মিরাজ ২০০০। এটি একটি সিঙ্গল ইঞ্জিন, চতুর্থ প্রজন্মের ফাইটার জেট। ১৯৭০ সালে এর ডিজাইন তৈরি হয়। তখন কম ওজনের ফাইটার জেট হিসাবে এটি তৈরি হয়েছিল ফরাসি বায়ুসেনার জন্য। পরে ধীরে ধীরে তার ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশকে তা বিক্রি করা হয়েছে। পৃথিবীর মোট নয়টি দেশের কাছে এই যুদ্ধবিমান রয়েছে। ১৯৮৪ সালে প্রথমবার এটি কাজ শুরু করে। ফরাসি সেনার পঞ্চাশতম বর্ষে এর পথ চলা শুরু হয়।
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, বালাকোট, চাকোতি এবং মুজফ্ফরাবাদে জয়েশ জঙ্গিদের তিনটি লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ১২টি মিরাজ যুদ্ধবিমান এই অভিযানে অংশ নেয়। সীমান্ত পেরিয়ে ৮০ কিমি ভিতরে ঢুকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালানো হয়। ধ্বংস করে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। ঘটনায় প্রায় ২০০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অতর্কিত এই সফল অভিযান চালিয়ে ১২টি যুদ্ধবিমানই ভারতের আদমপুর বায়ুসেনাঘাঁটিতে ফিরে আসে।
শোনা যাচ্ছে হামলার পরই পাকিস্তানের দিক লক্ষ্য করে মিসাইল প্রস্তুত রেখেছে ভারতীয় সেনা। আম্বালা, পাঠানকোট, হালওয়ারা বিমানঘাঁটিতে মিরাজ ২০০০, মিগ ২৯ এবং সুখোই ৩০-কে তৈরি রাখা হয়েছে। এছাড়া সমস্ত বায়ুসেনাঘাঁটিকে মিসাইল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান।
জানা গিয়েছে, বালাকোট সেক্টর থেকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানগুলি। জয়েশ জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে লেজার গাইডেড হামলা করা হয়। এর ফলে লক্ষ্যবস্তুতে নিঁখুতভাবে হামলা চালানো সম্ভব। শোনা যাচ্ছে হামলার জেরে পাকিস্তানের দুটি যুদ্ধবিমানও ধ্বংস করা হয়েছে।