নয়াদিল্লি: রাফাল নিয়ে বিতর্ক চলছেই। আর এই বিতর্কের মধ্যেই জমা পড়তে চলেছে বহুল প্রতিক্ষীত ক্যাগের রিপোর্ট। ফলে, ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে ফের বাড়তে চলেছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, রাফাল চুক্তির দরদামের খুঁটিনাটি সম্পর্কিত ক্যাগের অডিট রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই সেটি ছাপানোর জন্য পাঠানো হয়েছে।
সোমবার যেকোনও সময় সংসদে উপস্থাপন করা হতে পারে সেই রিপোর্ট। সেটা যাচাই করার জন্য পাঠানো হবে পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির কাছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। যার সাম্প্রতিকতম সংযোজন, ২০১৫ সালের প্রতিরক্ষা দফতরের নোট। সেই নোটে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে ‘প্যারালাল নেগোশিয়েশন’ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। সেখানে আরও বলা হয়, প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মকর্তাদের উপেক্ষা করেই আলোচনায় আখেরে ভারতেরই ক্ষতি হবে। যদিও প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অসম্পূর্ণ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
যা নিয়ে শরিক শিবসেনাও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। শিবসেনার পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, রাফাল চুক্তির মাধ্যমে তাহলে কার লাভ হচ্ছে? রুগ্ন শিল্পপতিদের না দেশের? সমস্ত বিতর্কের অবসান হতে পারে এই ক্যাগের রিপোর্ট প্রকাশিত হলেই। লোকসভা নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি অনেকটাই ঠিক করে দিতে পারে এই রিপোর্ট। আপাতত, সেই রিপোর্টের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।