নয়াদিল্লি : রাফাল চুক্তি সই হওয়ার আগেই দুর্নীতির জন্য পেনাল্টি ও অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে টাকা জমা রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ সংস্থান বাদ দেওয়া হয়েছিল। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনল হিন্দু সংবাদপত্র। তাদের মতে, প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে কোনও সরকারের তরফ থেকে এটি সবথেকে বড় ছাড়। এর আগে হিন্দু জানিয়েছিল, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের পাশপাশি সমান্তরাল আলোচনা চালিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী দফতরও। প্রবল রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে প্রতিরক্ষাসামগ্রী কেনায় অযাচিত প্রভাব, এজেন্ট বা এজেন্সির কমিশন এবং ফ্রান্সের দাসাউ বা এমবিডিএ-র কোম্পানির অ্যাকাউন্টে সরাসরি অধিকারের মতো ধারা রাফালের ক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভারত ও ফারসি সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, দাসাউ রাফাল বিমান ও এমবিডিএ বিমানবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ করার কথা। হিন্দু সরকারি নথিপত্র দিয়ে দাবি করেছে, সরকারি চুক্তিতে সেসময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর আটটি পরিবর্তন অনুমোদন করেছিলেন। ২৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে ওই চুক্তির বয়ান ক্যাবিনেট কমিটি অনুমোদন করে। ভারতীয় আলোচনাকারীদের মধ্যে তিনজন এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁরা সরকারি নিয়ম ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এমনকী, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিও নেওয়া হয়নি।