কলকাতা: পুরী জগন্নাথ দেবের মন্দিরের রত্নভান্ডার নিয়ে বহু কাহিনী রয়েছে আর সব কাহিনীই ইশারা করে যেন কোনও অদৃশ্য শক্তি ক্রমাগত রক্ষা করে যাচ্ছে এই রত্নভান্ডারকে৷ তিনিই কি স্বয়ং নাগরাজ? যিনি ফনা তুলে আগলে রাখছেন এত এত সোনা দানা, মনি মুক্ত৷ অনেকবার চেয়েও খোলা সম্ভব হয়নি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের এই ভান্ডার৷ কিছু না কিছু বাধা এসেছেই৷ যেন কেউ চাইছেন না খোলা হোক এই ভান্ডার৷ কে তিনি? জগন্নাথদেব স্বয়ং?
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে হাইকোর্ট এবং আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) এর নির্দেশে ওড়িশা সরকার জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলার নির্দেশ দিয়েছিল৷ কিন্তু চাবি হারিয়ে যাওয়ায় সেই রত্ন ভাণ্ডার খোলা যায়নি৷ তবে চমকে যাওয়ার মতো বিষয় কি জানেন? তদন্ত করেও সেই হারানো চাবি সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি। এই নিয়ে সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনেও সুর চড়িয়েছিল বিজেপি। জানা যায়, জগন্নাথ মন্দিরের এই রত্ন ভাণ্ডারের ভিতরে প্রায় ৮৬২ বছরের পুরনো ধন সম্পত্তি রয়েছে।
কথিত আছে এই রত্নভান্ডারে জগন্নাথ মন্দিরের তিন দেবতা জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার যাবতীয় সোনা-গহনা রাখা আছে৷ শুধু তাই নয় মূল্যবান বাসনপত্রও রাখা আছে রত্ন ভাণ্ডারে তাহলে কি এবার এটা খোলা হবে? গত ৪০ বছর ধরে বন্ধ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার। তার ভিতরে কী রয়েছে তা নিয়ে বরাবরই রয়েছে রহস্য৷
অনেকেই দাবি করেন, পুরীর রত্ন ভাণ্ডার পাহারা দিচ্ছে নাগরাজ শোনা যায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রত্ন ভাণ্ডারে যা সম্পত্তি রয়েছে তা দেশ তথা বিশ্বের কোনও মন্দিরে নেই৷ সেই কারণেই রত্ন ভাণ্ডারের দরজা বন্ধ থাকে কারোর সাহস হয় না রত্ন ভাণ্ডার খোলার৷
তবে সম্ভবত এবার তা খোলা হবে৷ তার ভিতরে কী কী ধনসম্পদ রয়েছে, তার তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এর জন্য ওড়িশার মসনদে বসা নতুন বিজেপির সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে রয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি। ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাই আদতে রত্ন ভাণ্ডারে কি রাখা আছে তা জানা সম্ভব দরজা খোলার পরই। তবে এবারও দরজা খোলা সম্ভব হবে তো? প্রশ্নটা উঠছেই৷