লাইনে দাঁড়িয়ে কেনা যাবে মদ, তবে পানে ‘নৈব নৈব চ’! নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

লাইনে দাঁড়িয়ে কেনা যাবে মদ, তবে পানে ‘নৈব নৈব চ’! নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা৷ করোনা ঠেকাতে ইতিমধ্যেই তৃতীয় দফায় দীর্ঘ লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে৷ দেওয়া হয়েছে কিছু ছাড়াও৷ ৪২ দিনের বন্দিভারতে নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনার তাণ্ডব৷ দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে মদের লাইনে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে মদ্যপদের ভিড়৷ চুলোয় উঠেছে সামাজিক দূরত্ব বিধি৷ আর তাতেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা৷ দীর্ঘ লকডাউনের সুফল কি এবার ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে মদের লাইনে মদ্যপদের ভিড়? করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই কেন খোলা হল মদের দোকান? উঠছে নানান প্রশ্ন৷ আর এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে ফের বেশকিছু বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷

তৃতীয় দফার লকডাউনের ঘোষণা হওয়ার পর ফের আরও এক দফায় নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ বাড়ির বাইরে পা রাখলেই পরতে হবে মাস্ক৷ প্রকাশ্যে খাওয়া যাবে না মদ, পান, গুটকা ও তামাকজাতীয় দ্রব্য৷ বিয়েবাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জনের বেশি উপস্থিত হতে পারবেননা৷ শেষকৃত্যে থাকতে পারবেন সর্বাধিক ২০ জন৷ জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে৷

আজ সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব পুণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ‘‘সার্বজনীক এলাকার জন্য আমরা বেশ নির্দেশিকা জারি করছি৷ সবাইকে মাস্ক পরতে হবে৷ জনসমক্ষে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷জনসমক্ষে অন্ততপক্ষে দু’গজ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ প্রকাশ্যে পুতুল ফেলা দণ্ডনীয় অপরাধ৷ এই সমস্ত এলাকায় মদ, পান, তামাক জাতীয় কোনও পণ্য সেবন করা দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে৷ দোকানে, বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ দোকানে পাঁচ জনের বেশি গ্রাহক থাকতে পারবেন না৷ কোনও সংগঠন বা ব্যক্তি কোনও স্থানে ৭ জন বা তারর বেশি একসঙ্গে একসঙ্গে জটলা করতে পারবে না৷ বিবাহ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৫০ জনের বেশি কেউ অংশ নিতে পারবে না৷ একই সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ শেষকৃত্যের ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ ২০ জনের বেশি লোক অংশ নিতে পারবে না৷’’

কেন্দ্রের এই নির্দেশিকার পর নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন৷ অনেকেই বলছেন, করনা সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্র যখন বিয়ে ও শেষকৃত্যের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করছে, তখন কেন করোনা সংক্রমণের আশঙ্কার উড়িয়ে মদের দোকানে ছাড় দেওয়া হচ্ছে? মদলের লাইনে কি করোনা থাকবে না? এতই যখন নিষেধাজ্ঞা, তখন কেন মদের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছে না কেন্দ্র? লক্ষ্মী লাভের আশায়? প্রশ্ন তুলছে জনতা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *