নয়াদিল্লি: বাড়ি ফেরার সময় লকডাউন নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিবাসী কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ আনলক-ওয়ান ঘোষণার পর এখন ধীরে ধীরে স্বভাবিক হচ্ছে দেশের কর্মস্থালগুলির পরিস্থিতি৷ সেই কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত৷ এর আগে গত ৯ জুন কেন্দ্র ও রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরতে ইচ্ছুক অভিবাসী শ্রমিকদের সনাক্ত করার পাশাপাশি তাঁদের নিজেদের বাড়িতে ফেরানোর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এম আর শাহ এবং ভি রামসুব্রাহ্মণিয়ামের একটি বেঞ্চ৷ আজ আরও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে৷ যেখানে বলা হয়েছে, অভিবাসী কর্মীদের বাড়িতে ফেরানোর জন্য কোনও রাজ্য ট্রেনের দাবি জানালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ট্রেনের ব্যবস্থা করতে হবে রেলকে৷
এছাড়াও এদিন সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত অন্যান্য নির্দেশিকাগুলির কথাও উল্লেখ করা হয়৷ তার মধ্যে রয়েছে, অভিবাসী কর্মীদের সহায়তার জন্য রাজ্যগুলতে 'হেল্প ডেস্ক' তৈরি করা প্রয়োজন যা অভিবাসী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে সহায়তা করবে, পাশাপাশি কাউন্সেলিং সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে অভিবাসী শ্রমিকদের শহরে ফিরে স্বভাবিক জীবনধারণের ক্ষেত্রেও সহায়তা করতে হবে৷
লকডাউন পরবর্তী সময়ে অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের প্রশ্নে গত ২৬ মে, একটি স্বতঃপ্রনোদিত মামলা দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির একটি বেঞ্চ৷ এর দু’দিন পরে, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, নিজের রাজ্যে বা শহরে ফিরে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসী কর্মীদের ট্রেন ও বাসের ভাড়া নেওয়া উচিত নয়৷ এমনকি তাদের নিখরচায় খাবার সরবরাহ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়৷ ৩ জুন কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা একটি হিসেব তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিলেন, ৩ জুন পর্যন্ত অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য ৪,২০০ টির বেশি 'শ্রমিক স্পেশাল' ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ১ কোটিরও বেশি অভিবাসী শ্রমিক ট্রেনে বা বাসে তাঁদের নিজেদের শহরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷