ডেডলাইন ৪ জানুয়ারি! আইন প্রত্যাহার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কৃষকদের

সবমিলিয়ে কৃষক আন্দোলন যে আরও বড় মাপের হতে চলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার নতুন যে তিনটি কৃষি আইন এনেছে তা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে। ৪০ টিরও বেশি কৃষক সংগঠন দাবি তুলেছে এই নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার জন্য। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হলেও ইতিবাচক কোনো ফল মেলেনি এ ব্যাপারে। তাই এবার বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিল কৃষক এবং কৃষক সংগঠনগুলি। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ৪ জানুয়ারির বৈঠকের পরেও যদি ইতিবাচক ফল না মিলে তাহলে এই আন্দোলন আরও বড় আকার ধারণ করবে। সবমিলিয়ে কৃষক আন্দোলন যে আরও বড় মাপের হতে চলেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

কৃষক সংগঠনের পক্ষে কথা বলে রাজনীতিবিদ যোগেন্দ্র যাদব জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এখনও তাদের দাবি সম্পর্কে কোন কথা বলেনি। কৃষকদের মূলত দুটি দাবি, কৃষি আইন প্রত্যাহার করা এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতি। এই দুটি দাবি নিয়ে এখনও নিরুত্তাপ কেন্দ্রীয় সরকার। এই ভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি যে আরও উত্তপ্ত হবে তা বলাই বাহুল্য। আগামী ৪ জানুয়ারি ফের একবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার কথা কৃষক সংগঠনগুলির। তাই এখন আপাতত সেই বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।

যোগেন্দ্র যাদব আরও জানিয়েছেন, ৪ জানুয়ারি যদি কোন সমাধান সূত্র না বের হয় তাহলে ৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর র্যালি বের করবেন কৃষকরা। পরবর্তী সময়ে শাজাহানপুর সীমান্ত থেকে দিল্লির দিকে যাত্রা শুরু হবে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক সংগঠনগুলির ষষ্ঠ দফায় বৈঠক হয়ে গিয়েছে, যদিও কোনরকম সমাধানসূত্র মেলেনি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কৃষকরা অধৈর্য হয়ে পড়ছেন সরকারের কার্যকলাপে। তাই এখন আগামী ৪ জানুয়ারির বৈঠক যে ভীষণ রকম তাৎপর্যপূর্ণ তা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই। গত বছর ২৫ ডিসেম্বর দেশের ৯ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে ১৮,০০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। বিরোধীদের দাবি, কৃষকদের ব্যাপারে কোনো রকম পদক্ষেপ না নিয়ে এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − six =