আসন থেকে টেনে নামানো হল উপাধ্যক্ষকে, উত্তাল কর্নাটকের বিধান পরিষদে

বেঙ্গালুরু: বিধান পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন ডেপুটি চেয়ারপার্সনকে হেনস্থা। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটক বিধান পরিষদে। অভিযোগ, সভা চলাকালীন সদস্যদের একাংশ এমন কাণ্ড ঘটায়। মঙ্গলবার তার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তারপর থেকেই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। ওই ভিডিওয় ডেপুটি চেয়ারপার্সন ভোজেগৌড়াকে ঘিরে থাকতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের বিধান পরিষদ সদস্যদের। ভিডিওয় দেকা গিয়েছে তারপরই তাঁকে টেনে হিচড়ে সিট থেকে নামানো হচ্ছে।

বেঙ্গালুরু: বিধান পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন ডেপুটি চেয়ারপার্সনকে হেনস্থা। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটক বিধান পরিষদে। অভিযোগ, সভা চলাকালীন সদস্যদের একাংশ এমন কাণ্ড ঘটায়। মঙ্গলবার তার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তারপর থেকেই সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। ওই ভিডিওয় ডেপুটি চেয়ারপার্সন ভোজেগৌড়াকে ঘিরে থাকতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের বিধান পরিষদ সদস্যদের। ভিডিওয় দেকা গিয়েছে তারপরই তাঁকে টেনে হিচড়ে সিট থেকে নামানো হচ্ছে।

পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল। তখনই বিধান পরিষদের চেয়ারপার্সন কে পি শেট্টি সেখানে পৌঁছন। তিনি তখনই সভা মুলতুবি করে দেন। চেয়ারপার্সন কে পি শেট্টি নিজেও কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য। আর ভোজেগৌড়া রাজনৈতিক দল জেডি(এস)-এর সদস্য। কিছুদিন আগে এই দুই দলের মধ্যে কর্নাটকে জোট সরকার ছিল। কিন্তু এখন শাসকদল বিজেপির দিকে হেলে পড়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার দলের সঙ্গে এখন গেরুয়া শিবিরের মাখামাখি। সম্প্রতি বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ বিলটিকেও তারা সমর্থন জানিয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন এমনিই চাপানউতোরের পর্যায়ে রয়েছে। বিজেপি চাইছে জেডি(এস)-এর সাহায্য নিয়ে শেট্টিকে সরাতে।

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার সরকার নতুন বিল এনেছিলেন বিধান পরিষদে। সেটি ছিল গো-হত্যা বন্ধ সংক্রান্ত বিল। তখন যাতে অশান্তি না হয় তাই সভা মুলতুবি করে দিয়েছিলেন শেট্টি। এর পরেই ওই বিল পাশ নিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়। পাশাপাশি শেট্টিকে অপসারণের ইস্যু নিয়েও তৎপর হয় শাসকদল। কিন্তু হিসেব মতো বিজেপি একা তা করতে পারবে না। তাই জেডি(এস) নেতৃত্বের সঙ্গে জোট বাঁধার চেষ্টা চলে। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত অধিবেশনের সময়ই বিরোধীদের রোষের মুখে পড়েন ভোজেগৌড়া। কর্নাটকের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির নেই। তবে কয়েক বছর আগে রাজ্যে বিধান সভার অধিবেশন চলার সময় তিন বিজেপি বিধায়ক নীল ছবি দেখার ঘটনায় অভিযুক্ত হন। সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *