নয়াদিল্লি: ৩৫ নম্বর লোধি এস্টেটের সরকারি বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হল প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রাকে। পয়সা অগাস্টের ভিতর তাঁকে বাংলো খালি করতে বলা হয়েছে। এক সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তাঁর বাংলোর অ্যালটমেন্ট বাতিল করা হয়েছে। তার ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা বকেয়াও রয়েছে। এসপিজি বা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের নিরাপত্তা বাতিল হওয়ার পর থেকেই এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। যদিও একান্ত ব্যক্তিগত স্তরে প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত তাঁকে তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ কিংবা সরকারের বিরোধিতা থেকে টলাতে পারবে না।
নির্দেশিকায় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক জানিয়েছে, যেহেতু তিনি আর স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের নিরাপত্তা পাচ্ছেন না, সেহেতু তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে তার জন্য বরাদ্দ ৩৫, লোধি এস্টেটের বাংলোয় আর থাকতে পাবেন না। আধিকারিকরা জানিয়েছেন তিনি আর বাংলো পাওয়ার তালিকাভূক্ত নন, যদি না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিরাপত্তার কারণে কোনও ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেয়। মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতিতে প্রাপ্ত এসপিজি নিরাপত্তা এবং জেড প্লাস সিকিউরিটি এখন তুলে নেওয়া হয়েছে। তার ফলে নিরাপত্তার কারণে কোনও সরকারি আবাস তিনি পাবেন না, ফলে ১ জুলাই থেকে ৩৫ নম্বর লোদি এস্টেটের ৬বি টাইপের আবাস পাওয়ার ক্ষেত্রটি বাতিল করা হল।
পরিয়ঙ্কা গান্ধীকে বলা হয়েছে, ১ অগাস্টেকর পর যদি তিনি ওই বাংলোয় থাকেন তবে তাঁকে জরিমানা দিতে হবে। কংগ্রেস নেত্রীর নিকট সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর তিনি আর এই বাংলোয় থাকতে রাজি ছিলনে না৷ কিন্তু এসপিজির কারণে তাঁকে এই বাংলো ছাড়তে দেওয়া হয়নি। রবার্ট ভেদ্রাকে বিয়ের পর তাঁকে সাউথ দিল্লির সৈনিক ফার্মে যেতে দেওয়া হয়নি। ১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যার পর সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে এসপিজি প্রোটেকশন দেওয়া হয়। গতবছরের নভেম্বর মাসে সবার ওপর থেকেই এই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া। ৩ হাজার জনের সশস্ত্র গাড়িসমেত কম্যান্ডো বাহিনী এসপিজি এখন কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলায়।
তাঁর মা বা দাদার মতো প্রিয়ঙ্কা সাংসদ না হওয়ায় সরকারি বাংলো পাওয়ার অধিকার তার নেই বলে জানিয়েছেন এক সরকারী আধিকারিক। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বহু কংগ্রেস নেতৃত্ব। তারা লালকৃষ্ণ আদবানি এবং মুরলি মনোহর যোশির সরকারি বাংলো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। উত্তরপ্রদেশে বিশেষত মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে বিজেপির করোনা পদক্ষেপ নিয়ে বারবার কড়া সমালোচনা করার খেসারত দিতে হল প্রিয়ঙ্কাকে, বলে মনে করছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।