আজ বিকেল: দেশের সমস্ত সরকারি পরিকাঠামো একদিন বেসরকারি সংস্থার অধীনে রাজ করবে। দেশ তখন বেসরকারি সংস্থার থেকে মাসিক ভাড়া গুনে রাজকোষ ভরবে। ভারতীয় রেল সবথেকে বড় কর্মসংস্থানের জায়গা, এবার সেখানেই বেসরকারি করণ করতে চলেছে রেল। বহুবার এনিয়ে উদ্যোগ নিলেও বিরোধীদের রে রে দাপটে ক্ষমতাসীন সরকার বেশি দূর এগোতে পারেনি। তবে এবার হচ্ছেই, বিমান পরিকাঠামোয় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স, এয়ার ইন্ডিয়ার পাশে যেমন, ইন্ডিগো, কিং ফিশার, জেট এয়ার ওয়েজের মতো বেসরকারি সংস্থা প্লেন চালাচ্ছে। রেলেও টিক একই পরিস্থিতি ঘটতে চলেছে।
বহুদিন হল, প্যান্ট্রিকার থেকে লন্ড্রি, সুইপার ওয়াটার ক্যারিয়ারদের যাবতীয় কাজ বেসরকারি সংস্থার হাতে ছেড়ে দিয়েছে রেল। শুধু চালকের আসনেই ছিল সরকারি লোক, এবার সেখানেও বেসরকারিকরণের হাতছানি। শোনা যাচ্ছে খুব শিগগির প্রিমিয়াম ট্রেন চালানোর ভার পড়বে বেসরকারি সংস্থার হাতে। যেমনটা বিদেশে ঘটে তাকে। রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেস মানেই হাইফাই যাতায়াত. বিশ্বমানের পরিষেবা। এবার এই প্রিমিয়াম ট্রেনগুলি চালানোর ভারই নিজেদের কাঁধ থেকে নামাতে চাইছে। প্রথমে শতাব্দীর মতো ট্রেন তৈরি করে বেসরকারি সংস্থার হাতে ছাড়া হবে। পরে ধীরে ধীরে এখন চলতে থাকা শতাব্দী এক্সপ্রেস রাজধানী এক্সপ্রেস চালাবে বেসরকারি সংস্থার চালকরা। ট্রেনের খাবার থেকে জল, যাবতীয় খুঁটিনাটি দেখভালের দায়িত্বও চলে যাবে বেসরকারি সংস্থার অধীনে। এরফলে বেশকিছু নতুন ট্রেনও চালু হবে।
বালবাহুল্য, বকলমে রেলকে বেসরকারি করণের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল কেন্দ্র। কোনও নামী বহুজাতিক সংস্থার তত্ত্বাবধানে রেল পড়তে চলেছে তা একেবারে নিশ্চিত। এখন দেখার আগামীর গতিপথ মসৃণ না বন্ধুর কোনটা হয়।