এবার রেলের যাত্রীভাড়া নির্ধারণ করবে বেসরকারি সংস্থা, অবাধ  স্বাধীনতা দিচ্ছে কেন্দ্র

 রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বরুণ কুমার  যাদব  জানালেন, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে নিজের মত করেই ভাড়া নির্ধারণের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। তবে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস এবং বিমানগুলিও সেই রুটেই চলাচল করে তাই ভাড়া নির্ধারণের আগে তাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

নয়াদিল্লি: বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে রেল পরিষেবা শুরু হলে সংস্থাগুলিকেই যাত্রীভাড়া নির্ধারণের অনুমতি দেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। শুক্রবার রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বরুণ কুমার যাদব  জানিয়েছেন, বেসরকারি সংস্থাগুলিকে নিজের মতো করে ভাড়া নির্ধারণের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

ভারতে রেল ভাড়া রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল, যেখানে ট্রেনগুলি প্রতি দিন অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যার মতো যাত্রী বহন করে, এবং দেশের একটি বড় অংশের মানুষ তাদের যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে এই বিস্তৃত নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল। কয়েক দশকের অবহেলায় নেটওয়ার্কটি এখন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে, সেই কারণ দর্শিয়ে মোদী প্রশাসন বেসরকারি সংস্থাগুলিকে স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে ট্রেন পরিচালনা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি মারাত্মক দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে যা চারদশকে এই প্রথম। আর এর মধ্যেই আংশিকভাবে রেলপথ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেখানে আর্থিক দুর্দশা কাটিয়ে ওঠার একটা প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভি কে যাদব বলেন যে রেল পরিষেবার দায়িত্ব নিতে যে সমস্ত বেসরকারি সংস্থাগুলি আগ্রহ প্রকাশ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে অলস্টম এসএ, বোম্বার্ডিয়ার আইএনসি, জিএমআর ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের মত সংস্থাগুলি। রেলপথ মন্ত্রকের অনুমান অনুসারে, এই প্রকল্পগুলি আগামী পাঁচ বছরে ৭.৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ আনতে পারে।

এই মুহূর্তে রেলপথের আধুনিকীকরণের বিষয়টিতে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন মোদি। সেই লক্ষ্যে ২০২৩ সালের মধ্যে জাপান থেকে স্বল্প ব্যয় লোনের মাধ্যমে দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়াও প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির গতি বৃদ্ধির পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। গত জুলাইয়ে ১৫১ টি ট্রেনের মাধ্যমে ১০৯ টি মূল-গন্তব্য রুটের যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে আগ্রহী সংস্থাগুলিকে আবেদন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। পাশাপাশি নয়াদিল্লি এবং মুম্বাই সহ রেলস্টেশনগুলিকে আধুনিকীকরণেও বিনিয়োগকারীদের সন্ধান চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *