নয়াদিল্লি: শিক্ষানবীশ আমলাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল কথোপকথনে তাঁদের বীজমন্ত্র দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিনের ভার্চুয়াল সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভাবি আমলাদের মূলমন্ত্র হবে, নূন্যতম সরকার, সর্বোচ্চ প্রশাসন।
গণতন্ত্রের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ আমলাতন্ত্র। সরকার, প্রশাসনের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয় তাঁদের হাত দিয়েই। ফলে সরকারের নীতি রূপায়ণ বা সেগুলি কার্যকর করার ক্ষেত্রে আমলা কাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এদিন শিক্ষানবীশ আমলাদের মূলমন্ত্র দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। দেশের আমলাদের আগামিদিনে নূন্যতম সরকার এবং সর্বোচ্চ প্রশাসনের মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেশএর জনগণ শুধুমাত্র সরকারের পরিষেবা প্রাপকই নয়, তাঁরাই সরকারের আসল চালিকাশক্তি। ফলে আমাদের সরকারকে অতিক্রম করে পরিষেবা প্রদানকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে৷’ তিনি আরও বলেন, ‘আজ সরকার যেভাবে কাজ করে চলেছে, আপনাদের মতো আমলাদের লক্ষ্য হবে নূন্যতম সরকার এবং সর্বোচ্চ প্রশাসন। আপনাদের সুনিশ্চিত করতে হবে যে, জনমানসে আপনাদের প্রভাব যতই কম হোক না কেন, তা যেন সাধারণ মানুষকে ক্ষমতাবান করে তোলে৷’
কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তরে আমলাদের মধ্যে যাতে বিভাগীয় বিচ্ছিন্নতাবোধ না থাকে, তারজন্য আইএএস, আইএফস এর মতো সর্বোচ্চ আমলাদের সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে একটি কমন কোর্স করানোর প্রথা চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেটিরই এ বছরের সূচনা ছিল এদিন। সেখানে ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘দেশ যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে, সেই সময় আপনারাই কাজ করবেন। ২০২২ থেকে আগামী ২৫ বছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে৷’ দেশএর ভাবি আমলাদের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘দিন কয়েক আগে মিশন কর্মোদ্যোগী নামে আরেকটি প্রকল্প চালু করেছে সরকার। ধারণ ক্ষমতা তৈরি করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে মিশন কর্মোদ্যগী৷’
এদিন গুজরাটে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মদিনে জাতীয় একতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্চে করোনার ভাইরাস লকডাউনের পর থেকে এই প্রথমবার গুজরাট সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদি। এখান থেকেই ভার্চুয়াল সভায় আমলাদের সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।