নয়াদিল্লি: নির্বাচনের আড়াই মাস আগেই পুদুচেরিতে ভেঙে গিয়েছে কংগ্রেস-ডিএমকে জোট সরকার। কিন্তু এইটুকু সময়ের মধ্যে বিজেপি সরকার গঠন করার ঝুঁকি নিল না সেখানে। তাই, বিধানসভা নির্বাচনের আড়াই মাস আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গেল ভারতের এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমতি প্রয়োজন ছিল। আজ সেই অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
গত রবিবার ২ বিধায়কের ইস্তফার পরেই দুর্বল হয়ে পড়েছিল জোট সরকার। সোমবার নিজেদের স্বপক্ষে মাত্র ১২ টি ভোট পায় কংগ্রেস জোট। এর পরেই কার্যত ঘোষণা হয়ে যায় যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বর্তমান জোট সরকার। পরবর্তী ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ব্যর্থ হওয়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা দেন পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। এই সময় পরিস্থিতি বিজেপির অনুকূলে ছিল। পদ্ম শিবির চাইলে সরকার গড়তে পারত পুদুচেরিতে। কিন্তু নির্বাচনের মাত্র আড়াই মাস আগে নতুন করে আর সরকার গঠন করতে চায়নি তারা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ, বিজেপির বিরুদ্ধে এমনিতেই ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে ভুরি ভুরি। মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে কর্ণাটক সহ একাধিক রাজ্য এই ঘটনার সাক্ষী। তাই নতুন করে বিতর্কে জড়াতে চাইছে না বিজেপি। সেই কারণে আপাতত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হল সেখানে।
২০১৬ সালে ডিএমকের তিন বিধায়ক এবং একজন নির্দল বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছিল কংগ্রেস-ডিএমকে জোট৷ কংগ্রেসের জিতেছিল ১৫টি আসনে। কিন্তু পর পর বিধায়কদের ইস্তফার ফলে ৩৩ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় বর্তমান সদস্যের সংখ্যা ২৮। লক্ষ্মীনারায়ণ এবং ভেঙ্কটেশনের ইস্তফার পর তা কমে ২৬। অন্যদিকে বিরোধী জোটের হাতে রয়েছে ১৪ জন বিধায়ক৷ যার জেরেই ভোটের আগে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল নারায়ণস্বামী সরকার।