নয়াদিল্লি: রাম মন্দির ট্রাস্টের জমা পরল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ৫ লক্ষ টাকার অনুদান। মন্দিরের নির্মাণ কাজে এই অনুদান কাজে লাগানো হবে। একইসঙ্গে গুজরাটের এক হিরে ব্যবসায়ী ১১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজের জন্য! সব মিলিয়ে অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণ কাজের চূড়ান্ত পর্ব শুরু।
জানা গিয়েছে, এদিন রাম মন্দির নির্মাণ কাজের জন্য ৫ লক্ষ ১০০ টাকার একটি চেক দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। শুধু তাই নয় গুজরাটের এক হিরে ব্যবসায়ী গোবিন্দ ভাই ঢোলাকিয়া ১১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফ জানা গিয়েছে, রাম মন্দির ট্রাস্টের জন্য অনুদানে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। আপাতত সারা দেশজুড়ে অনুদান সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে যা চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত কয়েকদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে তাদের সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবার রাম মন্দির নির্মাণের খরচ জোগাড় করতে অনুদান নেওয়া হবে আমজনতার থেকেও। এই বিষয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বর্ষীয়ান নেতা কৃষ্ণ গোপাল জানিয়েছেন, অনুদানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম টাকা হবে ১০, এছাড়া ১০০ এবং ১০০০ টাকার কুপন থাকবে। তবে কোনও ভক্ত যদি চান তাহলে বেশি টাকার অনুদান দিতেই পারেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য ভূমিপূজা হওয়ার পরেই ভক্তদের আশা এবং আকাঙ্খা অনেক বেড়ে গেছে। তাদের জন্যই এখন এক অত্যাশ্চর্য মন্দির গড়ার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে আরএসএস।
অযোধ্যা মামলা৷ সমস্যার সূত্রপাত ১৯৯২ সালে৷ হিন্দু সংগঠনের তরফে দাবি জানানো হয়, বাবরি মসজিদ আসলে রাম জন্মভূমি! রাম জন্মভূমির উপর বাবরি মসজিদ বানিয়েছিল বলেও অনেকে দাবি করে থাকেন৷ ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে দেশজুড়ে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা বিশ্বের কাছে মুখ পোড়ে ভারতের৷ ১৯৯২ সালের দাঙ্গার বলি হন অন্তত দু’হাজার মানুষ৷ কোনক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর শুরু হয় মামলা৷ ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, বিতর্কিত ২.৭৭ একর এই জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে৷ একটি ভাগ পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড৷ অন্য একটি ভাগ পাবে নির্মোহী আখাড়া৷ তৃতীয় ভাগটি রাম লাল্লার জন্য বরাদ্দ হবে৷ এই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি মামলা দায়ের হয়৷