নয়াদিল্লি: বাজেট অধিবেশনের শুরুতে আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণে উঠে এল বাঙালির ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজোরর কথা৷ সম্প্রতি বাংলার দুর্গাপুজাকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো৷ সেই প্রসঙ্গই এদিন উঠে আসে রামনাথ কোবিন্দের বক্তৃতায়৷ দেশ নতুন কী কী কৃতিত্ব অর্জন করেছে বলতে গিয়েই বাঙালির দুর্গাপুজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন কোবিন্দ। বাংলার স্বীকৃতিতে যে গোটা ভারত গর্বিত, তা প্রমাণ হয়ে গেল রাষ্ট্রপতির ভাষণেই৷
আরও পড়ুন- চিন্তা বাড়াচ্ছে দৈনিক মৃত্যু! সংক্রমণের হার নিয়েও উদ্বেগ দেশে
বিশ্বের সেরা সংস্কৃতি বিভাগের তালিকায় স্থান পেয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের৷ গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় স্থান পাওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ডিসেম্বরে এসেছে সেই স্বীকৃতি। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের মাধ্যমে আবেদন পৌঁছেছি রাষ্ট্রপুঞ্জের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিভাগের কাছে। বিচারে ‘হেরিটেজ’ তকমা পায় কলকাতার দুর্গোৎসব৷ ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই ইউনেস্কো-র ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’-র তালিকায় স্থান পায় কলকাতার দুর্গাপুজো।
উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে ভারতের একাধিক রাজ্যের সংস্কৃতি ও উৎসব নিয়ে একটি সমীক্ষা শুরু করেছিল ইউনেস্কো। সেই সমীক্ষায় আগেই স্থান পয়েছে কেরলের মুদিয়েট্টু লোকনৃত্য৷ পাশাপাশি এদিন রাষ্ট্রপতি জানান কৃষক উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে চলেছে মোদী সরকার। রবি শস্যের সময় সরকার ফসল কেনায় উপকৃত হয়েছেন ৫০ লক্ষ কৃষক৷ এছাড়াও তিনি বলেন, জনধন যোজনা প্রকল্প ও ইউপিআই বা ডিজিটাল অর্থনীতি প্রসারের জন্য ৪৪ কোটি ভারতীয় উপকৃত হয়েছে৷ তিনি বলেন, করোনাকালেও দেশের মানুষ অভুক্ত থাকেনি৷ ৮০ কোটি ভারতবাসীকে ১৯ মাস ধরে বিনামূল্যে রেশন দিয়েছে কেন্দ্রের সরকার৷