নয়াদিল্লি: অগ্নিগর্ভ কাশ্মীর৷ চলছে অভিযান৷ গোটা উপত্যকা তটস্থ৷ আকাশে অবিরত হেলিকপ্টার ওড়ার শব্দ৷ সঙ্গে হাইওয়ে জুড়ে সাইরেন আর হুটার৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের বারবারান্ত রুখতে চলছে সেনা অভিযান৷ ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী স্থানীয় সংগঠনের নেতৃত্বকে গ্রেপ্তার করা শুরু হয়েছে৷ জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট, জামাত ই ইসলামিয়া, হুরিয়ত কনফারেন্সের নেতা ইয়াসিন মালিক, ডক্টর হামিদ ফায়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও খবর৷ পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে উঠেছে সীমান্ত৷ সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে ১০ হাজার আধাসেনা৷
গোটা কাশ্মীরে দখল নিয়ে ফেলেছে আধাসেনার জওয়ানরা৷ দিল্লি থেকে মিলিয়ে ১০ হাজার আধাসেনাকে বিমানে করে শ্রীনগরে আনা হয়েছে৷ আরও আড়াই হাজার আধাসেনাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে যাওয়ার জন্য৷ সিআরপিএফ, বিএসএফ ছাড়াও ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার ফোর্সে একের পর এক কোম্পানি যাচ্ছে শ্রীনগর। শ্রীনগর ও মূলত দক্ষিণ কাশ্মীরের আকাশে সারাদিন ধরে চলছে হেলিকপ্টারের নজরদারি৷ প্রবল তল্লাশি শুরু হয়েছে৷
কাশ্মীরের ডিজি অবশ্য বিবৃতি জারি করে বলেছেন, অযথা গুজব যেন কেউ না ছড়ায়। যা হচ্ছে এটা রুটিন অভিযান। কোনও সাধারণ কাশ্মীরির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। আর সবই স্বাভাবিক চলছে। এই নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হলেও গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু জামাত ই ইসলামিয়ার প্রধানকে গ্রেপ্তার করায় কাশ্মীরের রাস্তায় রাস্তায় জামাত সমর্থকরা নেমে পড়েছে। উল্লেখ্য জামাতকে হিজবুল মুজাহিদিনের রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবেই বিবেচনা করা হয়। যদিও সেকথা অস্বীকার করে সর্বদাই জামাত নেতৃত্ব বলে তারা আদতে সামাজিক একটি সংস্থা। জামাতের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে কাশ্মীরে এবার দীর্ঘমেয়াদী কোনও অচলাবস্থা তৈরি করার দিকেই এগোচ্ছে কেন্দ্র। এসব হল তারই চক্রান্ত।