নয়াদিল্লি: বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করলেন প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। আদালত আবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, ক্ষমা চেয়ে নিলে কোনও শাস্তির মুখে তাঁকে পড়তে হবে না। এর জন্য সুপ্রিম কোর্টের তরফে সময় দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি চাপের মুখে নতি স্বীকার করেননি৷ তিনি ক্ষমা চাইবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- দত্তক নেওয়া ২ হিন্দু বোনের বিয়ে দিলেন মুসলিম দাদা, কুর্নিশ নেটিজেনদের
কিছুদিন আগে দলের শীর্ষ আদালত ও প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন। এরপরেই তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আদালতে এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, যা বিশ্বাস করেন, তাই তিনি টুইট করেছেন। চাপের মুখে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়া হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। ক্ষমা চাইলে মন থেকে চাওয়া উচিত। তা না হলে সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি অপমান করা হবে নিজের বিবেককে। তাই তিনি কোনওভাবেই ক্ষমা চাইবেন না।
আরও পড়ুন- স্বাভাবিকের পথে দেশ, আন্তঃরাজ্য চলাচলে আর বাধা নয়, অনুরোধ স্বরাষ্ট্র সচিবের
বিতর্কিত টুইটের জন্য প্রশান্ত ভূষণকে দোষী সাব্যস্ত করে শীর্ষ আদালত চলতি মাসের ১৪ তারিখ। এরপর ২০ তারিখ তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য দুইদিন সময় দেওয়া হয়। সেই দিনই তিনি মন্তব্য করেছেন, যা করেছেন, তিনি ভাবনা চিন্তা করেই করেছেন। রকারের সর্বোচ্চ আইন অফিসার, অ্যাটর্নি জেনারেল বেনুগোপাল প্রশান্ত ভূষণকে যাতে শাস্তি দেওয়া না হয়, তার আবেদন করেন। তবে সুপ্রিম কোর্টের তরফে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। জানানো হয়, ক্ষমা না চাইলে প্রশান্ত ভূষণকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।