কংগ্রেস নেতৃত্বকে খোঁচা প্রশান্তের, বিরোধী জোট নিয়ে দিলেন পরামর্শ

কংগ্রেস নেতৃত্বকে খোঁচা প্রশান্তের, বিরোধী জোট নিয়ে দিলেন পরামর্শ

নয়াদিল্লি: বাংলার বিধানসভা নির্বাচন জেতার পর অনেকেই মনে করেছিল যে তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেস একজোট হয়ে জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে তত এই দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা বেড়েছে। এখন মাঝেমধ্যেই ঘাসফুল শিবির বিভিন্ন ইস্যুতে একহাত নেয় কংগ্রেস বাহিনীকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশ মনে করছে আগামী দিনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যাবে না তৃণমূল। সেই সন্দেহ আরও বেশি গাঢ় হল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্যে।

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে একহাত নিলেন প্রশান্ত কিশোর এবং বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কী ভাবে সম্ভব তার পরামর্শ দিলেন তিনি। প্রশান্তের কথায়, কংগ্রেস যে আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করে তা শক্তিশালী বিরোধী পক্ষের জন্য প্রয়োজন কিন্তু কংগ্রেসের নেতৃত্ব ঐশ্বরিক ভাবে সঠিক হতে পারে না সব সময়। গত ১০ বছরে প্রায় ৯০ শতাংশ নির্বাচনে হেরেছে তারা। তাই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর মনে করছেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধী নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে একনাগারে ঘাসফুল শিবির কংগ্রেসকে নিশানা করে যাচ্ছে এবং তাদের শীর্ষ নেতৃত্বকে একহাত নিচ্ছে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র সফরের মাঝেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে কংগ্রেস নেতৃত্বকে আক্রমণ করেন।  অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষ সকলেই কংগ্রেসের বিচলিত আর কথা বলেছেন এবং একই সঙ্গে দলের মুখপাত্র জাগো বাংলাতেও কংগ্রেসের সমালোচনা করা হয়েছে। এবার হাত শিবিরকে নিশানায় নিলেন প্রশান্তও।

বিরোধী জোটের নেতৃত্বে কে থাকবে তা নিয়ে এখন বহু প্রশ্ন। যদিও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানাচ্ছেন যে এখন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে ভাবার সময় নয়, গণতন্ত্র কারা বাঁচাবে এবং গণতন্ত্র কী ভাবে বাঁচবে সেটা নিয়ে ভাবার সময়। গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *